মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের সঙ্গে যেন চীনকে এক করে না দেখা হয়। ১৯৬২-র যুদ্ধের পরে চীনেরও আকাশ-পাতাল বদল হয়ে গেছে। ভারত যেন সেটা মনে রাখে। সিকিম সীমান্তের কাছে ডোকা লা-য় দু’দেশের সেনা যখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময় নয়াদিল্লিতে বসে এ কথা বলে কার্যত সতর্ক করে দিল চীনা সরকারি সূত্র। চীন সরকারের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের (যেটি শি জিনপিং-এর বিদেশ এবং অর্থনীতি নির্ধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত) এক শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স¤প্রতি দিল্লি সফর করেছে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, চলতি অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে চীনের কড়া বার্তা সাউথ বøকে পৌঁছে দেওয়া। আর সেটা করতে গিয়ে চীনা সূত্রের দাবি, ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বেজিংয়ে। অরুণ জেটলি বলেছিলেন, ভারত সেই ’৬২-তে বসে নেই। আমরা এ কথাটাই ভারতীয় নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে, গত পঞ্চান্ন বছরে চীনেরও কিন্তু আকাশ-পাতাল বদল হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দাবি, ডোকা লা আমাদের ভূখন্ডে অবস্থিত। ভারতের কোনও অধিকার নেই এখানে নাক গলানোর। ভারতীয় নেতৃত্বের পাল্টা বক্তব্য, ভারত চীন এবং ভুটানের ত্রিপাক্ষিক সীমান্ত রেখা নিয়ে চীনের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। ডোকা লা চীন ভূখন্ডে নয়, সিকিম-ভুটান সীমান্তে। সেখান থেকে মাত্র ৩০কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়ি করিডর। সে কারণেই ওখানে বেজিংয়ের পরিকাঠামো তৈরির কাজকর্ম ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। মোদীর চীন-নীতিতে সমস্যা কোথায়? এ প্রসঙ্গে চীনা সূত্রের বক্তব্য, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিয়েই শুরু করেন। কিন্তু আলোচনার টেবিলে এমন ছোটখাটো সব সমস্যার কথা তোলেন, যাতে বড় ছবিটাই অস্পষ্ট হয়ে যায়! চীন মনে করে ওই সমস্যাগুলো আমলাস্তরেই মিটিয়ে ফেলা যায়। আমাদের সরকার চায় ধাপে ধাপে সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু মোদী এক সঙ্গে সব মতপার্থক্যকে সামনে আনেন। ফলে চীনা নেতৃত্বের ধারণা হয়েছে, ভারত আসলে সমাধান নয়, ওই সব সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বক্তব্য উড়িয়ে বলেছে, চীন যেগুলোকে ছোটখাটো বলছে, তার মধ্যে কাশ্মীরের নাগরিকদের স্টেপলড ভিসা দেওয়া বা অরুণাচলকে বারবার চীনা মানচিত্রে দেখানোর মতো গুরুতর ব্যাপার আছে। ওগুলোকে বাদ দিয়ে আলোচনা সম্ভবই নয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে চীনা সূত্রের দাবি, ভারতীয় পণ্যের মেধাসত্তের বিষয়টি এতটাই জটিল যে, চীনা বা পাশ্চাত্যের মাপকাঠিতে তা কার্যত অচল। এটা ঘটনা যে, চীন যে ভাবে হৈ হৈ করে ভারতীয় বাজারে ঢুকেছে, তার সিকিভাগও ভারত সে দেশে ঢুকতে পারেনি। এমনকী ভারতীয় ক্রিকেটের পুঁজিও এখন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে ড্রাগন। চীনা ব্র্যান্ড ‘ওপো’ এবং ‘ভিভো’ যথাক্রমে টিম ইন্ডিয়া ও আইপিএল ক্রিকেটের স্পনসর। অন্য দিকে সামান্য পেট খারাপ, মাথা ধরার ওষুধ পর্যন্ত রফতানি করতে গিয়ে চীনা দেওয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে নয়াদিল্লি! এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।