রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকে ফরিদপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ্ব ইঞ্জি. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশের কারণে ফরিদপুর জেলা বাস-মালিক গ্রুপ, মিনিবাস মালিক গ্রুপ, মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ শত চেষ্টা করেও তাদের স্ব-স্ব সংগঠনের নামে কল্যাণ তহবিলের ন্যূনতম চঁাঁদা গ্রহণের অনুমতিও মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট থেকে নিতে পারেননি। সেখানে সম্প্রতি, ফরিদপুর জেলা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নামে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসংখ্য শ্রমিক এহেন চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ঢাকা-৪৬৬২) গত জুন মাস হতে ১৫০ টাকা মূল্যের স্টিকার বিক্রির মাধ্যমে এ চাঁদার টাকা আদায় করে আসছে। তারা গঠন করেছে একটি বিশাল লাঠিয়াল বাহিনী। ফরিদপুরে যত অটোরিক্সা আছে, প্রত্যেক অটোরিক্সার জন্য প্রতি মাসে বাধ্যতামূলক ১৫০ টাকার স্টিকার গ্রহণ করতে হবে। প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে এ স্টিকার গ্রহণ করে অটোরিক্সায় না লাগালেই রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয় ঐ লাঠিয়াল বাহিনী। শহর ও শহরতলীর মোড়ে মোড়ে গিয়ে এ লাঠিয়াল বাহিনী স্টিকারবিহীন অটোরিক্সাকে আটক করে জোরপূর্বক ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে বলে অভিযোগে জানা গেছে। লাঠিয়াল বাহিনীর নিকট বাড়তি টাকা দিতে কেউ রাজি না হলে বা কোনো শ্রমিকের বিলম্ব হলে শুরু হয়ে যায় তা-ব। অটোরিক্সা ভাংচুর ও মারধরসহ যে কোনো উপায়ে স্টিকারের নির্ধারিত টাকার অধিক আদায় করবেই। ফরিদপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার অটোরিক্সা রয়েছে। ফরিদপুর জেলা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা শ্র্রমিক ইউনিয়নের নামে ফরিদপুর পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক স্টিকার সরবরাহ করে এ চাঁদার টাকা আদায় করছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে কোনো লোককে। নির্ধারিত তারিখের একদিনও পার হবার উপায় নাই। নির্ধারিত দিনের পর কোনো অটোরিক্সায় পরবর্তী নতুন স্টিকার না দেখলেই রিপোর্ট হয়ে যায় সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। সরকারি কোনো বাহিনীও এত দ্রুত রিপোর্ট করতে পারে না বলে অভিযোগকারী অটোরিক্সা শ্রমিকরা আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান। কোনো স্ট্রিকারে ফরিদপুর জেলা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. আক্কাস হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ হোসেন মোল্যার স্বাক্ষরসহ নাম এবং মোবাইল নম্বর দেয়া অছে। আবার কোনো স্টিকারে কেবলমাত্র নাম লেখা রয়েছে। ফরিদপুর জেলা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ঢাকা-৪৬৬২) সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া আবেদন পত্রটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য ও অভিযোগ শাখা স্মারক নং-০৫.১২.০২৮৩.০২৩.০২৭.০০৫.১৩/০২-১০৬/১(৩) তারিখ-০৫/১০/২০১৫ ইং পত্র মারফত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার মো. মতিউর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে পুলিশ সুপার যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অভিযোগকারীদেরকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে চাঁদাবাজি অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে। অন্যথায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।