পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এর ফলে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশ দিয়ে উপরে ওঠার ওই সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ফ্লাইওভার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। আদেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ফ্লাইওভারে ওঠার এরকম সিঁড়ি নেই।
আদালতে ওরিয়ন গ্রæপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
পরে এস এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে দাখিল করেছিল। এটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনার কারণ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও এসব সিঁড়ি অপসারণের জন্য আরজি জানানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে ফ্লাইওভার থেকে সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে কর্তৃপক্ষকে।
এর আগে গত ৩১ মে হাইকোর্ট হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়ি সরাতে দুই সপ্তাহ সময় দেয় কর্তৃপক্ষকে। এশিয়ান এইজে গত ২৮ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন। সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ওরিয়ন।
এর আগে ১৯ ফেব্রæয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ছয় থেকে সাতটি সিঁড়ি এবং ফ্লাইওভারের ওপর থেকে বাস স্টপেজ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেছিলেন সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল নামের এক আইনজীবী। তার আবেদনে বলা হয়, ফ্লাইওভারের ওপরে স্টপেজ বানিয়ে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হচ্ছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে; সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।