Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপরে ফিটফাট নিচে সদরঘাট

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট অবস্থা যেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র মো. হানিফ ফ্লাইওভার এলাকার। ফ্লাইওভারের উপরে ফিটফাট আর নিচের সড়কের অবস্থা সদরঘাট। কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ভাঙাচোরা আর ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা সড়কের উভয় পাশ। একটু বৃষ্টি হলেও গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। এ অবস্থার মধ্যে দিয়েই চলাচল করতে হয় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই জনসাধারণের। খানা-খন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলামান লকডাউনের মধ্যেও ভাঙা সড়কের কারণে এই সড়কে যানজট লেগেই থাকছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কাজলা এলাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে কয়েক মিটার সড়কে অনেকগুলো বড় গর্ত। ফলে পণ্যবাহী গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, বাস, প্রাইভেট কার ইত্যাদি যানবাহনকে এই এলাকা অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। এখানে কয়েকটি বড় বড় গর্তের কারণে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। অনেক সময় এ যানজট শনির আখড়া পেরিয়ে রায়েরবাগও ছাড়িয়ে যায়।

চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো এই সড়ক ব্যবহার করে ঢাকায় প্রবেশ করে। এসব বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও যাত্রীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। লকডাউনে বাস বন্ধ থাকলেও ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোর অনেক সময় অপচয় হয় এই রাস্তা পার হতে গিয়ে। সড়কের খানা-খন্দের কারণে ২-৩ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ১ ঘণ্টারও বেশি।

এছাড়া যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের সামনের সড়কের অবস্থাও বেহাল। একদিকে ভাঙা সড়ক অপরদিকে পণ্য পরিবহনের পিক-আপ অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখায় যানজট এ এলাকায় নিত্য দিনের সঙ্গী।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় নবনির্মিত ফুটওভার ব্রিজের পর থেকেই সড়কে খানাখন্দের শুরু। এছাড়া যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়ৎ, যাত্রাবাড়ী থানার বিপরীত পাশে, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনের সড়কের বেহাল দশা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলামান লকডাউনের মধ্যেও ভাঙা সড়কের কারণে এসব এলাকায় যানজট দেখা গেছে।

কথা হয় মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নাদিম নেওয়াজের সাথে। তিনি জানান, গত দুই বছর ধরে এই সড়কে চলাচল করি। অনেক দিন থেকেই এই সড়কের বেহাল দশা। মাঝে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হলেও বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আবার সড়কের বেহাল দশা। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবিও জানান তিনি।

নবাবপুরের ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মোল্লা জানান, আমার বাসা শনির আখড়ায়। প্রতিদিন নবাবপুরে যেতে হয়। ভাঙা সড়কের কারণে কোন দিনই সময়মতো পৌছাতে পারি না। মাঝে মধ্যে রিকশা উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। সড়কটির দ্রুত মেরামত করা হলে এ পথে চলাচলকারীরা উপকৃত হবে।



 

Show all comments
  • মো:শাহআলম ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫৫ এএম says : 0
    ঢাকার প্রায় সব ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার আবস্তা খুবই খারাপ।বছরের পর বছর!!! বিদেশর মতো landscape কোম্পানিকে দ্ধায়িত্ব দিলে শহর তথা দেশের ও জনগণের উপকার হতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ