Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধারা থাকলে মামলা হবেই আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় অপরাধ হলে মামলা হবে, এটি স্বাভাবিক। তবে মামলাই শেষ কথা নয়। সুষ্ঠু তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলেই অভিযোগ দাখিল করা হবে। তবে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে এ ধারার মামলায় কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়। তিনি বলেন, ৫৭ ধারা সরিয়ে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাখা হবে কি না-আগামী অগাস্ট মাসে তা জানা যাবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে,সেখানে ‘অনেক কিছুই’ এসেছে। তবে সেসব বিষয়ে এই সভায় চূড়ান্ত নিদ্ধান্ত হয়নি। আজকের আলোচনায় যেসব কথাবার্তা এসেছে, তার একটা রূপরেখা করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে এনে আমরা আগামী অগাস্ট মাসে এটার একটা ড্রাফট নিয়ে আবার মিটিংয়ে বসব। সেই মিটিংয়ে বসে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। সেখানে ওই ধারা সম্পর্কে আমাদের সিদ্ধান্ত আপনারা পাবেন।
যেসব মামলা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে সভায় কোনো পর্যবেক্ষণে এসেছি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো কথা হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৫৭ ধারায় মামলা হতেই থাকবে কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, দ্যাখেন, আমি আপনাদের একটি কথা বলি ৫৭ ধারা যদি আমরা বাতিলও করে দেই, তাহলে এই যে মামলা যেগুলো হয়েছে সে ব্যাপারে কিন্তু একটি সিদ্ধান্ত যখন ওই আইন করব তখন নিতে হবে। ৫৭ ধারায় এখন যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো কিন্তু কোর্টের এবং তদন্তের এখতিয়ারে রয়েছে। আমি আপনাদের আগেও বলেছি, এ ধারায় যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোতে সাংবাদিকরা এবং বাক স্বাধীনতার ব্যাপারে যদি কোনো ইয়ে করা হয়ে থাকে, তদন্তকারী সংস্থা সেটা দেখবে। আনিসুল হক বলেন, আমরা অত্যন্ত ইয়েভাবে পরীক্ষা করব ইনভেস্টিগেশনের সময় যাতে কোনো মতেই নির্দোষ কোনো সাংবাদিক সাজা না পায় বা হয়বানি না হয় সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।
আইনমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই ধারাটা আছে ততক্ষণ পর্যন্ত যদি এই ধারায় কোনো অপরাধ হয় তাহলে কিন্তু মামলা হবে। এটা নিয়ে তো আর কিছু বলা যাবে না। কিন্তু মামলা হওয়াটাই শেষ নয়। মামলা হওয়ার পরে এই ধারায় চার্জশিট দেয়ার আগে ইনভেস্টিগেশন একটা হয়। সেই ইনভেস্টিগেশন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে, সেটা আপনাদের আমি আশ্বস্ত করতে পারি।
৫৭ ধারায় বেশিরভাগ মামলা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধ হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আপনারা যদি কনসার্ন থাকেন, আমি তা নোট করব এবং তা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি তারা যেন বিবেচনা করে ইনভেস্টিগেশনটা চালায়।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়ার ১৯ ধারায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা রাখার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলেছি আমরা এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি। আপনারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি জানতে পারবেন। এসময় অন্যদের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ