পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গুম অপহরণ নির্যাতন নিয়ে প্রকাশিত তথ্য সঠিক বলে আবারো দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ)। সংস্থাটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছে, আমাদের দেওয়া গুমের তথ্য সঠিক। জাতিসংঘও বার বার এব্যপারে কথা বলেছে।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দিয়েছে এইচআরডবিøউ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বক্তব্যের সত্যতা অস্বীকার করে বলছে, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জাতিসংঘ কখনও বাংলাদেশের কথিত গুমের ব্যাপারে কিছু বলেনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, তাদের মতোই গুম-সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রæপের ক্ষেত্রেও বারবার অভিযোগগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে ‘কঠোর সতর্কতা’ জারি করেছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি তাদের অভিযোগকে সত্য বলে দাবি করেছে। এইচআরডবিøউ-এর বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে ওই মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা গতকাল নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে বলছে, সত্য বললেই তাকে নেতিবাচক প্রচারণা বলা যায় না।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এইচআরডবিøউ-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে কয়েকশ’ মানুষ গুম কিংবা গোপন আটকের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন বিরোধী নেতাও রয়েছেন। সংস্থাটির প্রতিবেদনে অন্তত ৯০ জনের তথ্য রয়েছে, যারা কেবল ২০১৬ সালেই গুম হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগকে এক সপ্তাহ বা একমাস গোপনস্থানে আটকে রাখার পর আদালতে হাজির করা হয়েছে। ২০১৭ সালের প্রথম পাঁচ মাসে এরকম ৪৮ জনের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তাদের কাছে তথ্য থাকার দাবি করে সংস্থাটি আবারো বলছে, এরকম আটক ২১জনকে পরে হত্যা করা হয়েছে আর নয়জনের কোন তথ্যই আর জানা যায়নি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা করেছে এই সংস্থাটি। তাদের বর্তমান প্রতিবেদনটিও সেই প্রচারণার অংশ। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এইচআরডবিøউ তাদের বিবৃতিতে বলছে, না, সত্য বলার মানে ‘নেতিবাচক প্রচারণা’ নয়।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা আছে। তারা এসব নিয়ে কিছু বলে না। তারা (এইচআরডবিøউ) এত গায়ে পড়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসে কেন?
এর জবাবে সংস্থাটির বিবৃতিতে বলেছে,তাদের মতোই গুম-সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপের ক্ষেত্রেও বারবার অভিযোগগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে ‘কঠোর সতর্কতা’ জারি করেছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নানা কারণে আমাদের দেশে মানুষ গুম হয়। কোনো সময় ব্যবসায়িক কারণে, যখন দেনা হয়ে যায় তখন লুকিয়ে থাকে। কখনো বা সামাজিক কারণে লুকিয়ে থাকে। কখনো বা বড় বড় অপরাধী যখন দেখে, পাপের ভার এমনই হয়ে গেছে যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজ শুরু করেছে, সেই সময় সে আত্মগোপনে যায়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, এগুলো যদি গুম বলতে হয় তাহলে ‘গুমের সংজ্ঞাই পরিবর্তন করতে হবে’। তার দাবি, ‘গুমের যে খবর আছে, এর অধিকাংশই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করেছে। যারা ব্যবসায়িক কারণে গুম হয়েছে, আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী তাদের খুঁজে বের করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।