পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির প্রথম মৃত্যবার্ষিকীর দিনে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছে স্থানীয়রা। সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গুলি ও গোলাবারুদ বর্ষণে দুই ভারতীয়সহ অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। গতকাল সকালে পুঞ্চ সীমান্তের লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে ভারতীয় এক দম্পতি নিহত হয়। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে চার পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও আরো ৯ জন আহত হয়েছে বলে ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এছাড়া কাশ্মীরের বান্দিপুর সীমান্তে পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে গতকাল সকালের দিকে আরো তিন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কাশ্মীর উপত্যকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। গতকাল হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে কাশ্মীরে মোবাইল সেবা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।
স্থানীয়রা বলছেন, মানুষের চলাচলে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, বাড়ি থেকে বের হলে তাদেরকে গুলি করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।
গত বছরের ৮ জুলাই কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। এর পর থেকেই ব্যাপক বিক্ষোভ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় উত্তপ্ত কাশ্মীরের মানুষ।
২৩ বছর বয়সী হিজবুল এই কমান্ডারের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে তার সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণার পর রাস্তায় নেমে আসে বুরহানের অনুসারীরা।
মাসের পর মাস ধরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। কয়েক মাসের সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। প্রতিবাদ দমনে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্লেট গানের গুলিতে মারাত্মক আহত হয় আরো কয়েকশ’ মানুষ। মৃত্যুবার্ষিকীর আগে কাশ্মীরি শিক্ষার্থী উমাইর ফারুক কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ‘বুরহান আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে একজন নায়ক হিসেবে। তার মৃত্যুর অনেক কাশ্মীরি তরুণ বিদ্রোহে যোগ দেয়। তিনি এখনো আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।’ সূত্র : ওয়েবসাইট। (এ সংক্রান্ত আরো খবর পৃষ্ঠা ৬)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।