পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই ৪ দিনেই চাল আমদানি হয়েছে ৫৯ দশমিক ৬৮ হাজার টন। যা গত অর্থবছরে আমদানি করা চালের প্রায় অর্ধেক। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাপক হারে চাল আমদানির এই চিত্র উঠে এসেছে। সূত্র মতে, হাওরে বন্যা, মজুদ কম থাকা এবং বøাস্ট রোগে দেশে ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়ায় বিনা জামানতে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে শুল্ক হার কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ। এই দুই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। তবে দ্রæত আমদানি বাড়ায় শিগগিরই বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল দেশে আনতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। সরকারি গুদামে চালের মজুদ কম থাকাসহ নানা কারণে হঠাৎ বেড়ে গেছে মোটা চালসহ সব ধরণের চালের দাম। কেজিপ্রতি মোটা চালের দাম বেড়ে যায় ৮ থেকে ১০ টাকা। চালের আপদকালীন এই সংকট মেটাতে ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২০ জুন চাল আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে বিনা জামানতে চাল আমদানির সুযোগ দিয়ে গত ১৯ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমদানিতে উৎসাহী হন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক কমানো হবে এমন ঈঙ্গিত পেয়ে আগেই এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন অনেক ব্যবসায়ী। প্রয়োজন অনুযায়ী এখন তারা চাল আমদানি করছে।
মন্ত্রণালয়ের আমদানি পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই চারদিনেই চাল আমদানি হয়েছে ৫৯ দশমিক ৬৮ হাজার টন। যেখানে গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার টন। সে হিসেবে চার দিনেই গত অর্থবছরের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ চাল ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন রনি বলেন, এতদিন শুল্ক বেশি ছিল বলেই ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করেনি। এখন যেহেতু শুল্ক কমানো হয়েছে সবাই কমবেশি আমদানি করবে। ইতিমধ্যে কিছু চাল এসেছে। কিছু পথে আছে। আরো অর্ডার দেয়া হচ্ছে। আমদানির খবরে ইতিমধ্যে কেজিপ্রতি দুই-তিন টাকা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ৪ জুলাইর বাজার দরে দেখা গেছে, মোটা চালের বর্তমান বাজার দর পাইকারি প্রতি কেজির দাম ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা থেকে ৪৭ টাকা।
কোরবানি ঈদের আগেই চালের বাজার পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মেসার্স সায়েম রাইস এজেন্সির মালিক জাকির হোসাইন রনি বলেন, ১৮ শতাংশ শুল্ক কমানো মানে একশ টাকায় ১৮ টাকা কমে যাওয়া। সে হিসেবে এক কেজি চালের দাম যেখানে এতদিন ছিল ৫০ টাকা তা ৯ টাকা কমে ৪০-৪১ টাকা হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিশেনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেন, মজুদ কমে যাওয়ায় সাময়িক সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি করা দরকার। কারণ জাহাজবোঝাই থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানি করতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে। অস্থিরতা কেটে বাজার তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গুদামে বর্তমানে চালের মজুত রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার টন। তবে মজুত কমে গেলেও বাড়ছে আমদানি। এছাড়াও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ। চলতি বছরের ২ মে থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে (সিদ্ধ ও আতপ) চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৭১ হাজার ১৭৩ টন। প্রচুর চাল আমদানি হয়েছে, এছাড়া দুই মাস পর চালের আরো একটা মৌসুম আসছে। সব মিলে শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।