পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে আরো ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ হাজার টন নন বাসমতী সেদ্ধ ও ১২ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করবে। স¤প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত দুটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উল্লিখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাংগাদানা বিশিষ্ট) নন বাসমতী সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আমদানির শর্তে বলা হয়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দ প্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল সত্ত¡াধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রয় করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে এ বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
জানা গেছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরো কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি পাঠানো হয় এবং অনুমতিও মেলে।
অস্থিতিশীল চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শ‚ন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামল। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।