নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মো. আলতাফ হোসেন : সুস্থ দেহ সবল মন, খেলাধুলার প্রয়োজন। যদি কেউ সুস্থ দেহ এবং সবল মন চায় তাহলে তার খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলাই একমাত্র সঠিক ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সুস্থ শরীর গঠনে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে যত রকম বিনোদন মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে খেলাধুলা অন্যতম। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি ও বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। আর খেলাটি যদি মাশার্ল আর্ট হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। মার্শাল আর্ট এক দিকে যেমন শক্তি ও সাহস যোগায় অন্য দিকে তা প্রেরণার উৎসও বটে। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ‘আত্মরক্ষায় কারাতে’ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১৩তম পর্বে আজ আমরা শিখবো ‘খাসিডাসি’ অর্থাৎ আচকমা (বøক) এর দ্বিতীয়টি।
খাসিডাসী...
অন্যান্য দিনের মতো লেসন শুরু করার পূর্বে ছালাম বা বো করে কিবাডাসী পজিশনে গিয়ে কারাতে অনুশীলনের জন্য কিছু ওয়ার্মআপ করে নেবো। ব্যায়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওয়ার্মআপ। যদি ভালো ভাবে ওয়ার্মআপ করে কিছু কারাতের ব্যায়াম করে নেয়া হয় তাহলে শরীরে ধীরে ধীরে রক্ত সঞ্চলন ও শ্বাস প্রশ্বাস বাড়বে। মাসেলের তাপমাত্রা বাড়লে মাসেল ঢিলা ও স্থিতিস্থাপক হবে। ফলে মাসেলে অক্সিজেন ও রক্ত সরবরাহ করবে। তাছাড়া ওয়ার্মআপের ফলে মাসেলের কাজ করার গতিও বাড়ে। প্রতিটি ব্যায়ামের ওয়ার্মআপের নিয়ম আলাদা হতে পারে, যাতে করে যে যে মাসেলে কাজ করার হবে সে সে মাসেলের ওয়ার্মআপ ঠিক মতো হয়। তাই যখন কেউ কারাতে প্রশিক্ষণ নেবে তখন ও প্রশিক্ষণের উপযোগী যে ব্যায়াম বা ওয়ার্মআপ হবে তা আগেই জেনে নিলে ভালো হয়।
ঠিক পূর্বের ন্যায় ছালাম বা বো করে কিবাডাসী পজিশনে থেকে অনুশীলন শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে পুরানো লেসনগুলো করে নিলে ভলো হয়। এতে প্রশিক্ষনার্থীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। খাসিডাসী প্রশিক্ষণের সময় অবশ্যই কিবাডাসী অবস্থায় থাকতে হবে এবং হাত দুটি কোমড়ের দুপাশে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় থাকবে। শুরু করার পূর্বে প্রথমে আচমকা (বøক) এর প্রথম যেটি করা হয়েছিল ‘ডোডকী’ সেটা করতে হবে। এটা করার সময় প্রথমে কোমড়ে থাকা বাম হাতটি ঘুরিয়ে নাকের একটু সামনে মুখ বরাবর থাকবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি মারের সময়ই হোইস শব্দ করে মারতে হবে। এরপর ডান হাতে ‘ডোডাকী’ মারার সময় বাম হাতটি চলে যাবে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় কোমড়ের পাশে। একই অবস্থায় অর্থাৎ ডান হাতটি ঘুরিয়ে নাকের একটু সামনে ২-৩ ইঞ্চি ফাঁকে সোজা অবস্থায় থাকবে এবং মুষ্টিবদ্ধ তালুর যে অংশ সেটা মুখ বরাবর থাকতে। এরপর ডান ও বাম হাতে ‘ডোডকী’ শেষ হলে ‘খাসিডাসী’ করতে হবে।
‘খাসিডাসী’ করার পূর্বে ডান হাতটি ছিলো নাক বরাবর সোজা অবস্থায়, এখন থেকেই ডান হাতটি চলে যাবে ডান কোমড়ে আর বাম হাতটি বাম কোমড়ে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় থেকে ডান হাতটি যখনই কোমড়ে চলে যাবে তনই বাম হাতটি ক্রস করে নিচে পেট বরাবর মরতে হবে এবং বাম হাতটি পেট হতে একটু দুরে বাঁকা অবস্থায় থাকবে। আবার ডান হাতে করার সময় বাম হাতটি চলে যাবে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় বাম কোমড়ে এবং ডান হাতে ‘খাসিডাসী’ মারতে হবে। ঠিক বাম হাতে যেভাবে মারা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায়। এবার ডান হাতটি বাম হাত ক্রস করে পেটের একটু সামনে বাঁকা অবস্থায় থাকবে মুষ্টিবদ্ধভাবে। এভাবে একবার বাম হাতে একবার ডান হাতে ‘খাসিডাসী’ করে নিলে ভালো হয়। খাসিডাসী অনুশীলনের মাধ্যমে দুহাতেই শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ যদি ছুরি দিয়ে কিংবা ঘুসি মেরে পেটে আঘাত করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে প্রতিহত করার জন্য এই ‘খাসিডাসী’ মারের ব্যবহার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এবং নিজেকে রক্ষা করতে এ খসিডাসী কার্যকর ভূমিকা রাখে। কারণ এটা আচমকা বা বøাকের দ্বিতীয়টি। আর মার্শাল আর্টে প্রতিপক্ষকে আঘাত হতে নিজেকে রক্ষা করতে এই আচমকা বা বøকের প্রয়োজন হয়।
লেখক : সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ, কারাতে কোচ ও চেয়ারম্যান গ্রীন ক্লাব, মানিকগঞ্জ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।