পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শত শত মানুষকে অবৈধভাবে আটক এবং গোপন স্থানে আটকে রেখেছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ), তা ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
বাংলাদেশে গুম এবং গুপ্ত বন্দিশালা-সংক্রান্ত এইচআরডবিøউর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা করেছে এই সংগঠনটি। তাদের বর্তমান প্রতিবেদনটিও সেই প্রচারণার অংশ। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা আছে। তারা এসব নিয়ে কিছু বলে না। তারা (এইচআরডবিøউ) এত গায়ে পড়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসে কেন?
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আপনি কাকে গুম বা নিখোঁজ বলবেন? এখানে পাওনাদারের দাবি না মেটাতে পেরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করে কেউ কেউ নিখোঁজ হয়ে যায়। আমরা এদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, কাউকে আটক করলে আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতের সামনে হাজির করি। তাই প্রতিবেদনটির তীব্র প্রতিবাদ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এমনভাবে কাউকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ) তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ২০১৩ সাল থেকে বিরোধী দলের কর্মীসহ কয়েক শ’ ব্যক্তিকে অবৈধভাবে আটক করেছে। তাদের গোপন স্থানে লুকিয়ে রেখেছে। বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে গোপনে আটক ও গুম’ শিরোনামের ৮২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালেই কমপক্ষে ৯০ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। যদিও গোপনে আটকে রাখার কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু এইচআরডবিøউর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, আটক হওয়া ২১ জনকে পরে হত্যা করা হয়েছে। আর নয়জনের অবস্থা অজানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।