বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা,যশোর ব্যুরো : ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে যশোর মৎস্য বিভাগের অধীনে ৪টি জেলার ২১টি উপজেলায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার কাজ চলছে। জেলাগুলো হলো যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ। শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ৩ প্রকল্প এবং দরপত্র আহবান দেখিয়ে ভুযা বিল ভাউচারে সরকারের ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় এবং জেলা দুনীর্তি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের দরিদ্র ও বেকার জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গত বছর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মৎস্যচাষ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। এর অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের চারটি জেলার ২১টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা হয়। গত বছর থেকে শুরু হওয়া ৩৪ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রকল্পকাজ আগামী ২০১৯ সলের ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা রয়েছে। অনলাইন সিস্টেমে দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান সত্বেও চলতি মাসে ধরা পড়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের পলাশ এন্টার প্রাইজের জালিয়াতি। প্রকল্প পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বাক্ষর জাল করে সরকারের ২০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ভুয়া বিল ভাউচারে শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর বাওড়-৩ এর পূনঃ খনন কাজ দেখানো হয়েছে। অথচ এই নামে কোনো দরপত্র আহবান করেনি মৎস্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে উপ প্রকল্প পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী ৩ জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে সম্পূর্ণ জাল কাগজপত্র উপস্থাপন করে ও স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। যে ব্যাপারে মৎস্য অফিস কিছুই জানে না। একটি সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেলার সদর উপজেলা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, চৌগাছা বাঘারপাড়া, নড়াইলের সদর উপজেলা, কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা, মাগুরা সদর উপজেলা, শালিখা, শ্রীপুর ও মোহম্মদপুর, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ড, কালীগঞ্জ, মহেশপুর ও কোটাচাঁদপুরে যে সব টেন্ডার আহবান করা হয় সেখানে পেশিশক্তি দেখানোর অপচেষ্টা করে ওই বিতর্কিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কাল্পনিক দরপত্র দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনায় প্রকল্পের কয়েকজন ও এজি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগের একটি সূত্র। এ বিষয়ে বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্যচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, বৃহত্তর যশোরের নির্বাচিত জলাশয় সমূহের পুনঃখনন এবং স্বল্প ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। মৎস্য আবাস স্থলের উন্নয়ন, মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন, বিলুপ্ত প্রায় মৎস্য পোনা মজুদকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে চাষযোগ্য ও আহরণযোগ্য মৎস্যর উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য জীববৈচিত্রের সংরক্ষণ হচ্ছে এই প্রকল্পের কাজ। আর পলাশ এন্টার প্রাইজ এ প্রকল্পে কালিমা লেপন করেছে। তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। ভুইফোঁড় দরপত্র দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়ে গোটা মৎস্য বিভাগকে বোকা বানিয়েছে। এব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক জাহিদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে গতকাল কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল বাশার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আমরা ফরোয়াডিং চেয়েছি। এটা পাবার পর আমাদের প্রধান কার্যালয়ে অনুমতির জন্য পাঠাবো। তারপর আমরা তনন্তে নামব। অভিযুক্ত পলাশ এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি শাওন হোসেনের সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সেলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।