Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিতা যদি ছেলের হত্যার বিচার চাইতে না পারেন, তাহলে যাবেন কোথায়

হত্যা মামলা শুনানি কালে আপিল বিভাগ

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একজন পিতা যদি তার ছেলে হত্যার বিচার চাইতে না পারেন তাহলে তিনি যাবেন কোথায়- এমন প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে মামলায় নারাজি আবেদন গ্রহণ করে আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় তার পিতাকে বাদী হিসেবে নথিভুক্ত করতে বলেন আদালত।
আদালতে নিহতের পিতাকে বাদী হিসেবে নথিভুক্ত করা সংক্রান্ত এক আবেদনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মামলার শুনানিতে নারাজি সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আপত্তি জানালে আদালত বলেন, একজন পিতা যদি তার ছেলের হত্যার বিচার চাইতে না পারেন, তা হলে তিনি যাবেন কোথায়? ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলা নিয়ে নারাজি আবেদন গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাকের পিতা. হোসেন মিয়াকে ওই মামলার বাদী হিসেবে নথিভুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রাজ্জাককে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন ওই ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার মুফু আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিষয়ে রাজ্জাকের পরিবার কিছুই জানত না। ওই মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করে তা আদালতে দাখিল করার পর শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট শুনানির দিন নারাজি আবেদন করেন আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের পক্ষের আইনজীবীরা। মামলায় নারাজি আবেদন করার কারণে দুই আইনজীবীর ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় দুই আইনজীবী আহত হন। এ ঘটনায় ওইদিনই আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। পরে ওই আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে আসে বাদীপক্ষ।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদন করেন নিহতের পিতা হোসেন মিয়া। ওই আবেদন শুনানি করে হাইকোর্ট মামলার নারাজি আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত রুল জারির নির্দেশনা দেন। পরে ওই রুল আবেদন খারিজ করেন দেন হাইকোর্টের অপর বেঞ্চ। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কে বা কারা এবং কেন রাজ্জাককে হত্যা করেছে সে বিষয়ে পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে নিহতের ছোট ভাই আবদুর রহমান দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে সরকার দলের ক্যাডাররা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। রাজ্জাক জিন্নাগড় ইউনিয়নের হোসেন মিয়ার ছেলে এবং চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিচার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ