Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাঞ্চলে বোরো’র বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : গেল বছরের তুলনায় কৃষি শ্রমিক ও বীজের মূল্য বাড়ায় এবার খুলনায় বোরোর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারা। ফেব্রæয়ারির বৃষ্টি বোরো ক্ষেতে ইউরিয়ার চাহিদা মিটিয়েছে। ফলে এ বৃষ্টি কৃষকের জন্য ছিল আশীর্বাদ। কৃষক আশঙ্কায় আছে, ন্যায্যমূল্য পাবে কি না।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানান, খুলনা জেলায় ৫০ হাজার ৬২৭ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৫১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। শুধু মাত্র ডুমুরিয়া উপজেলায় ২০ হাজার ৩৭৯ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন।
সূত্রমতে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে জেলায় একজন কৃষি শ্রমিকের মজুরি ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় দৈনিক ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। গেল মৌসুমের তুলনায় এবার উচ্চফলনশীল জাতের বীজের মূল্য কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, মাঠে বোরো আবাদের বয়স দেড় মাস হলেও পোকা আক্রমণ করেনি। জেলার ১৭৫জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে পোকা দমনে আলোর ফাঁদ সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, ফলে বাম্পার উৎপাদন হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, কৃষকরা ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করছেন। মার্চের প্রথম থেকে শীত পড়ায় পোকার আক্রমণ দেখা দেয়নি। এছাড়া পোকা দমনে ক্ষেতে পার্সিন পদ্ধতি (গাছের ডাল) ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলায় সারের কোন ঘাটতি নেই। ২৪ ফেব্রæয়ারি ৩০ মি.মি বৃষ্টি বোরো ক্ষেতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, হরিঢালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এখানে পোকার আক্রমণ দেখা যায়নি। তিনি আশাবাদী এ উপজেলায় বোরোর বাম্পার উৎপাদন হবে।
দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোঃ ঈসমাইল জানান, বিএডিসি চাহিদার তুলনায় ২২ শতাংশ বীজ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়। কৃষকরা খোলা বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করে তাতে একটু খরচ বেশি পড়েছে। গেল মৌসুমের তুলনায় এবার কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।
পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের মালত গ্রামের কৃষক মোঃ মোশাররফ হোসাইন জানান, বৃষ্টির কারণে এবার সেচের পরিমাণ কম হবে। পাশাপাশি পোকা দমনে কৃষি বিভাগ আলোর ফাঁদ সরবরাহ করেছে। কৃষি শ্রমিক ও বীজের মূল্য বাড়ায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বোরোর ন্যায্যমূল্য পাবেন না বলে তিনি উদ্বিগ আছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনাঞ্চলে বোরো’র বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় কৃষক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ