Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রথম বিমানবাহী রণতরীর মহড়া

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরি লিয়াওনিংয়ের নেতৃত্বে একটি নৌবহর সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে যখন আমেরিকার সঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে তখন চলছে এ মহড়া। মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য লিয়াওনিং গত মাসের ২৫ তারিখে কিংদাও থেকে যাত্রা শুরু করে। মহড়ায় দু’টি চীনা ডেস্ট্রয়ার এবং একটি ফ্রিগেট অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া, অংশ নিচ্ছে এক স্কোয়াড্রন জে-১৫ যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারও। সাগরের নানা পরিবেশে বিমানবাহী রণতরী নিয়ে কাজ করার দক্ষতা বাড়ানোই এ মহড়ার উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, গত রোববার দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল থেকে মার্কিন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ারকে হটিয়ে দিতে সামরিক জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল চীন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেইজিং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এ মহড়া চলছে। নৌচলাচলের স্বাধীনতার অজুহাতে আমেরিকা আবারো চীনা পানিসীমায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল। অপর এক খবরে বলা হয়, সিকিম সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতির দিকে। এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে চীনের সাবমেরিন, এতে মোটামুটি আতঙ্কে ভারতীয় নৌ-সেনারা। এর আগে দোকলাম তরাই অঞ্চল নিয়ে ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেশ চরমে ওঠে। তারপর চীনের নতুন এই গতিবিধিকে রীতিমত কড়া নজরে দেখছে ভারত। দু’তরফের সীমান্তেই প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এরকম একটি পরস্থিতিতে চীন ভারতে স্মরণ করিয়ে দেয়, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা। বেইজিং-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত যেন ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেয়। অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল্টা জবাবে জানান যে, ভারত এখন আর ১৯৬২ সালের ভারত নেই। এদিকে, এই সাবমেরিনগুলোর দিকে ক্রমাগত কড়া নজর রেখে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। দেশের ভূখন্ডকে রক্ষা করতে যাবতীয় সুরক্ষার বন্দোবস্ত করে তৈরি নৌসেনা। নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় স্যাটালাইট রু²িনী (জি স্যাট ৭)কে। জানা যাচ্ছে গত সপ্তাহে চীনের তথ্য সংগ্রহকারী জাহাজ হাইউইংজিং, বঙ্গোপসাগরে মার্কিন-জাপান-ভারত নৌশিবিরর গতবিধি লক্ষ্য করে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভুটানের দোকলাম তরাইয়ের মধ্য দিয়ে চিন একটি রাস্তা নির্মণের প্রকল্প নেয়। যে কাজে ভুটেনর পাশপাশি বাধা দেয় ভারতও। ভুটানের ভূখন্ডের মধ্যে দিয়ে চীন কীভাবে রাস্তা নির্মাণ করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আর তার ফলেই ভারত-চীন সংঘাত জোরদার হয়। ভারতীয় সেনার ২ টি বাঙ্কার লক্ষ্যে করে সিকিম সীমান্তে গুলি চালায় চীনের সেনা। সিনহুয়া,ওয়ান ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • তুষার ৫ জুলাই, ২০১৭, ৭:৫৯ এএম says : 0
    চীনা সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তের মত কাউকে মেরে দেখুক!
    Total Reply(1) Reply
    • abu ahmed ৫ জুলাই, ২০১৭, ৩:০৪ পিএম says : 4
      200% true
  • আমিনুল ইসলাম ৫ জুলাই, ২০১৭, ৪:১৮ পিএম says : 0
    বিশ্বে বর্তমান সকল অশান্তির মূলে এই শক্তি প্রদর্শণ ও অাধিপত্য বিস্তার।
    Total Reply(0) Reply
  • নিজাম ৫ জুলাই, ২০১৭, ৫:১৩ পিএম says : 0
    অস্ত্রের পিছনে এত টাকা খরচ না করে যদি সবাই মানব কল্যাণে টাকা খরচ করতো, তাহলে বিশ্ব হতো শান্তিময়।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজল ৫ জুলাই, ২০১৭, ৫:১৫ পিএম says : 0
    দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান আরো কঠোর হওয়া জরুরী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ