Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

আসতে চান স্মিথরা, তবে...

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে দেনা-পাওনা নিয়ে দেন দরবার চলছেই। ১ জুলাই থেকেই বেকার হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা গতকাল বসেছিল নিজেদের সংগঠন এসিএর সভায়। আর তাতেই সুষ্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে এসিএ। সেখানে আসন্ন বাংলাদেশ, ভারত ও অ্যাশেজ সফরে আগ্রহের কথা জানালেও সাফ জানিয়েছে সমঝোতা ছাড়া কোনও সফরই করবে না ক্রিকেটাররা! তবে আজ থেকে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের উদ্দেশ্যে যে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে, সেটাতে অংশ নেবে তারা। ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটা ঐক্যমত্যে পৌঁছেছি। কোনো পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটার চুক্তি স্বাক্ষরছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলবো না। তাদের প্রস্তাবমতো হয়তো আমরা কয়েকজন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে খেলবো, বাকিরা তো চুক্তির বাইরে চলে যাবে। এটা হতে পারে না। সিএ চায় ভাগ করো এবং শাসনকো নীতি। ক্রিকেটাররা সবাই আশাবাদী, বোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাধারণ চিন্তার উদয় হবে এবং ক্রিকেটারদের সবার স্বার্থ বিবেচনা করবে।’
ক্রিকেটারদের সভায় পাশ হওয়া ১৪ প্রস্তাবের ৬ নম্বরটি; প্রসঙ্গ বাংলাদেশ ও ভারত সফর। এই দুই সফরে যাওয়ার ইচ্ছে ক্রিকেটারদের প্রবল এবং তারা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) আহবান করছে ন্যায়সঙ্গতভাবে চুক্তি নবায়নের। কিন্তু যেহেতু ক্রিকেটাররা এখন চাকরিবিহীন এবং কোনো চুক্তি নেই, এই মুহূর্তে পেশাদার ক্রিকেটারদের কেউ সফর করতে বাধ্য বা প্রস্তুত নয়।
মানে পরিষ্কার। নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত খেলবেন না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। গতকাল সিডনিতে সভায় মিলিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) নির্বাহী, জাতীয় ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অনেকে। সেই সভাতেই ঠিক হয়েছে ভবিষ্যত করণীয়। ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাতীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ যোগ দিয়েছিলেন ভিডিও কলে।
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আগামী মাসে। এরপরে ওয়ানডে সিরিজ ভারতে। তবে আরেকটি সফর কড়া নাড়ছে দুয়ারে। এই ৮ জুলাই থেকেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। আজ থেকে ব্রিসবেনে শুরু হওয়ার কথা প্রস্তুতি ক্যাম্প। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কাম্পে যোগ দেবেন ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। চালিয়ে যাবেন অনুশীলন। মানে একটু ছাড় দিয়ে আলোচনা ও সমঝোতার পথ খোলা রাখা। তবে ক্যাম্পের এই সময়েও চুক্তি না হলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যাবেন না ক্রিকেটাররা। এই সফরে ‘এ’ দলের অধিনায়ক উসমান খাওয়াজাও জানিয়ে রাখলেন সেটি, ‘কাজটি খুব সহজ নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্রিকেট খেলতে চাই। অনেক দিন ধরে খেলতে পারছি না। সবারই একই অবস্থা। তবে আমরা একতাবদ্ধ। সবার ভাবনাই একই। আমরা এরপরও এই সপ্তাহে ট্রেনিং করব, নিজেদের কাজ করব ও প্রস্তুত থাকব। আশা করি, এই সময়ের মধ্যে কোনো একটা সমাধান হবে।’
চুক্তি বিতর্কে বোর্ডের মনোভাব ও আচরণে হতাশা প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব পাশ হয় সভায়। ২০ বছর ধরে চলে আসা সম্পর্ককে অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা করায় নিজেদের শঙ্কার কথা জানান ক্রিকেটাররা। বোর্ড ক্রিকেটারদের বিভক্ত করতে চাওয়ার পরও ক্রিকেটাররা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে গেছে, সেটি নিয়ে গর্বও জানানো হয় সভায়। আর প্রতিজ্ঞা করা হয় একতা ধরে রাখার। এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগ ও পদক্ষেপ দেখার পালা!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ