Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়া সফর!

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : গতকাল ছিল পহেলা জুলাই। দিনটি আট দশটা দিনের মতই হতে পারতো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। তবে সেটিকে কদর্যতায় ভরা এক দিন হিসেবেই মনে রাখবে দেশটির ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম লিখছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘ডুমস ডে’ অবশেষে চলেই এল! গতকাল ছিল ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের শেষ দিন। অস্ট্রেলিয়ায় এখন দিন গড়িয়ে রাত। আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন ডেভিড ওয়ার্নাররা, কার্যত তারা আর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের ক্রিকেটার নন। কারণ, বোর্ডের সঙ্গে কোনো চুক্তিই তাঁদের থাকবে না। যেটিকে সংবাদমাধ্যম বলছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা এখন বেকার!
অনেক দেশেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বনিবনা না হওয়ার খবর আছে। তবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এমন খবর চিন্তার রেখা কপালে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। আগামী মাসে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবার কথা দলটির। তার আগে এমন একটি খবর শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে বহুল প্রতিক্ষিত এই সফরটিকেই!
যদিও বাংলাদেশ সফরের এখনো দেরি আছে। ১০ আগস্ট ডারউইনে অনুশীলন ক্যাম্পে সমবেত হওয়ার কথা অজি ক্রিকেটারদের। সেখানে এক সপ্তাহের অনুশীলন শেষে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে বিমানে উঠবেন স্টিভ স্মিথরা। এখনো প্রায় দেড় মাস সময় হাতে থাকলেও, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি না হলে খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বদলে ঘরোয়া লিগগুলোতে খেলবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার মধ্যে আইপিএল ছাড়াও আছে ক্যারিবীয় লিগ সিপিএল বা দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগ। এর মধ্যে সিপিএল চলবে ৪ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, এর মধ্যেই আছে বাংলাদেশ সফরের সূচি। বাংলাদেশ সফর বাদ দিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তাই সিপিএল খেলতে চলে যেতে পারেন।
শুধু বাংলাদেশই নয়, যার সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের ক্রিকেটীয় স্বার্থও সম্পৃক্ত। যেমন কয়েক দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করার কথা। এরপর অস্ট্রেলিয়া মূল দল টেস্ট খেলতে আসবে বাংলাদেশে। তার চেয়েও বড় কথা, এ বছরেই আছে অ্যাশেজ, যেটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ‘আইকনিক’ সিরিজ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে ক্রিকেটারদের সংগঠনের (এসিএ) এই বিরোধে শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নন; সম্পৃক্ত সারা দেশের ক্রিকেটার। ফলে সিএর পক্ষে বিকল্প কোনো দলও তৈরি করা সম্ভব হবে না। সিএ আবার নিয়ম করে দিয়েছে, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া এমনকি কোনো অগুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী ম্যাচ খেললেও ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ করা হবে। যার কোপ গিয়ে পড়তে পারে নভেম্বরে শুরু আগামী অ্যাশেজের ওপর। ক্রিকেটারদের ছাড়া বোর্ড চলবে না, আবার বোর্ড ছাড়া ক্রিকেটাররাও অচল। কিন্তু দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে আছে। এই অচলাবস্থা দ্রæত না কাটলে বাংলাদেশ সফর আবারও অনিশ্চয়তার চাদরে ঢাকা পড়বে। এমনিতেই এই সফর আগে এক দফা স্থগিত হয়েছিল। শুধু ক্রিকেটারদের বেকার হয়ে পড়াই নয়, নানা সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় টিভি স¤প্রচার, স্পন্সরশিপ চুক্তি, সব কিছুই নিয়েই এখন ভজকট বেধেছে। সবমিলিয়ে পেশাদার হিসেবে বরাবরের আদর্শ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এখন গভীর সঙ্কটে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ