মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪২ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে তাইওয়ান। খবরে বলা হয়, চীনের উদ্বেগ উপেক্ষা করে তাইওয়ানের কাছে ১৪২ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আওতায় এটাই তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির প্রথম পদক্ষেপ। সবশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তাইওয়ানের কাছে ১৮৩ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন। এবার একই পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্পও। যদিও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হেদার নুউরেট জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কংগ্রেসে অস্ত্র বিক্রির সাতটি প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবনাও রয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, তাইওয়ানের কাছে ১৪২ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করা হবে। এ তালিকায় থাকছে উচ্চ প্রযুক্তির রাডার, উচ্চগতির অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন উপাদানসহ আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র। তার মতে, এর মধ্য দিয়ে দ্বীপটির নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আত্মরক্ষার সক্ষমতা বাড়বে। ট্রাম্প প্রশাসন এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন বজায় রাখবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান নেতা এডওয়ার্ড রইসি দীর্ঘ বিলম্বের পরে তাইওয়ানের কাছে আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র বিক্রির এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে উদ্বেগ জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই। তিনি বলেন, অস্ত্র বিক্রির এ উদ্যোগ পারস্পরিক আত্মবিশ্বাস নষ্ট করবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স¤প্রতি মার্কিন সিনেট কমিটি নৌবাহিনীর জাহাজের তাইওয়ানের বন্দর পরিদর্শন সংক্রান্ত একটি বিলে সম্মতি দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে এক চীন নীতিতে সমর্থন দেয়ার পরে এটাই তাইওয়ানের বন্দরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ প্রেরণের প্রথম পরিকল্পনা। ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। আগামী সপ্তাহে জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ২০টি অর্থনীতির জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন। জোটভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এতে যোগ দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার জানান, সম্মেলনের মাঝেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।