পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু , বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ার হাজামজা, জীর্ণশীর্ণ করতোয়া নদীর হারানো যৌবন ফিরে আনতে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ২শ’ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন সংক্রান্ত একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই করতোয়া নদীর পুনঃখনন কাজ শুরু হবে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মধ্য ৮০তে ¯্রােতস্বিনী করতোয়া নদীর উজানে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের খুলশী নামক স্থানে রেগুলেটর নির্মাণ করে এর পানি প্রবাহের মূল ধারাটাই বাঙালী নদীতে স্থানান্তর করা হয়। ফলে পূর্ণ যৌবনা করতোয়া নদীর পানি প্রবাহ দুর্বল হওয়ায় নদীর পাড়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল হতে থাকে। দখলের প্রভাবে ধীরে ধীরে নদীটি এখন একটি হাজামজা, জীর্ণশীর্ণ মরা খালে পরিণত হয়েছে।
সেই মৃতপ্রায় করতোয়া নদীর পুর্বের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বগুড়ার শাজাহানপুরের মাদলা থেকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের খুলশী পর্যন্ত মোট ৯৬ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন করার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের আওতায় ৩টি রেগুলেটর, ১টি রাবার ড্যাম ও ৮ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি নদীর উভয় তীরে (দুই পাড়ে) মানুষের পায়ে চলার পথ নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে ২শ’ ৩০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ৩টি রেগুরেটরের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জের খুলশী নামক স্থানে ১টি, বগুড়ার শিবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১টি এবং বগুড়া শহরের সুবিল খাল যেখানে করতোয়া নদীর সাথে সংযোগ হয়েছে সেখানে ১টি রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ব্রীজের কাছে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের সুরক্ষার স্বার্থে নদীর উভয় পাড়ে তীর সংরক্ষণ করে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার পায়ে চলার পথ তৈরি করা হবে। যেন সেখানে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচলসহ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে দেড় কিলোমিটার সড়ক এবং বগুড়া শহরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার করে উভয় তীরে মোট ৭ কিলোমিটার পায়ে চলার পথ থাকবে।
প্রকল্পটির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, করতোয়া নদীর পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন হলে এটি তার হারানো রূপ ফিরে পাবে। সঠিক পানি প্রবাহ বা নাব্যতা ফিরে পেলে পরিবেশ দূষনের হাত থেকে করতোয়ার দুই পাড়ের মানুষ রক্ষা পাবে। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা ও পানিবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে। সেচ সুবিধার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যাবে। নদীর আশপাশের কৃষকদের সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষির উৎপাদন খরচও অনেকটা কমে আসবে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অবলুপ্তি রক্ষা পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।