পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সহায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে ঈদযাত্রা নিয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগের দিন পার্বত্য জেলা সফরে গিতে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনের আগামী নির্বাচন হবে। আর সহায়ত সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা।
বিএনপি বেশ কিছুদিন থেকে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তা না হলে আন্দোলনে যাবে দলটি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের কথা তো ৮ বছর ধরে শুনছি। ৮ বছরে ৮ মিনিটও তাদের রাস্তায় দেখিনি সংঘবদ্ধভাবে। এমনকি ৫৯৬ জনের কমিটিকেও কোনোদিন দেখিনি কোনোদিন রাস্তায় এসে একটা ¯েøাগান দিতে, প্রটেস্ট করতে। বিএনপির আন্দোলনের নামে একটা বিষয় দেখেছি; আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমার ব্যবহার দেখেছি। মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা, রেল লাইনের ফিশ প্লেট উড়িয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ স্টেশন উড়িয়ে দেওয়া, ইলেকশনের বুথ-বাক্স, স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া- এগুলো দেখেছি। জনগণকে নিয়ে আন্দোলন দেখিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা আছে সেটা হচ্ছে, ইলেকশনটা ইলেকশন কমিশনের অধীনেই হবে। কোনো সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশনের সময় যে যে বিষয়গুলো, যে যে মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা ইলেকশন রিলেটেড সেগুলো কিন্তু ইলেকশন অধীনের ন্যাস্ত হবে। তখনকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে যে সরকার, সেই সরকারের কোনো মেজর পলিসি ডিসিশনে কোনো ভূমিকা থাকবে না। এমনকি সেই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সরকারের কাছে থাকবে না। ডিসি-এসপিরা ইলেকশন কমিশনের অধীনে থাকবেন। এ বিষয়টা পরিস্কার জানা উচিত। ইলেকশন কমিশনই তখন মূল বিষয়। ইলেকশন কমিশনের অধীনেই তখন নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই এই সরকার থাকবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালে সরকার যে ভূমিকা পালন করে এ সরকারও; তথা শখ হাসিনার সরকারও একই দায়িত্ব পালন করবে। তাদের মূল কাজ হবে একটা সুন্দর, নিরপেক্ষ, ক্রেডিবল, ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা, ফেসিলেটেড করা। এটাকেই বলে সহায়ক সরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজেই তখন যে সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো ক্ষমতায় থাকবে, সেই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তখন এ সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।