Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে সহায়ক সরকার -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সহায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে ঈদযাত্রা নিয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগের দিন পার্বত্য জেলা সফরে গিতে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনের আগামী নির্বাচন হবে। আর সহায়ত সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা
বিএনপি বেশ কিছুদিন থেকে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তা না হলে আন্দোলনে যাবে দলটি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের কথা তো ৮ বছর ধরে শুনছি। ৮ বছরে ৮ মিনিটও তাদের রাস্তায় দেখিনি সংঘবদ্ধভাবে। এমনকি ৫৯৬ জনের কমিটিকেও কোনোদিন দেখিনি কোনোদিন রাস্তায় এসে একটা ¯েøাগান দিতে, প্রটেস্ট করতে। বিএনপির আন্দোলনের নামে একটা বিষয় দেখেছি; আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমার ব্যবহার দেখেছি। মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা, রেল লাইনের ফিশ প্লেট উড়িয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ স্টেশন উড়িয়ে দেওয়া, ইলেকশনের বুথ-বাক্স, স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া- এগুলো দেখেছি। জনগণকে নিয়ে আন্দোলন দেখিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা আছে সেটা হচ্ছে, ইলেকশনটা ইলেকশন কমিশনের অধীনেই হবে। কোনো সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশনের সময় যে যে বিষয়গুলো, যে যে মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা ইলেকশন রিলেটেড সেগুলো কিন্তু ইলেকশন অধীনের ন্যাস্ত হবে। তখনকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে যে সরকার, সেই সরকারের কোনো মেজর পলিসি ডিসিশনে কোনো ভূমিকা থাকবে না। এমনকি সেই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সরকারের কাছে থাকবে না। ডিসি-এসপিরা ইলেকশন কমিশনের অধীনে থাকবেন। এ বিষয়টা পরিস্কার জানা উচিত। ইলেকশন কমিশনই তখন মূল বিষয়। ইলেকশন কমিশনের অধীনেই তখন নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই এই সরকার থাকবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালে সরকার যে ভূমিকা পালন করে এ সরকারও; তথা শখ হাসিনার সরকারও একই দায়িত্ব পালন করবে। তাদের মূল কাজ হবে একটা সুন্দর, নিরপেক্ষ, ক্রেডিবল, ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা, ফেসিলেটেড করা। এটাকেই বলে সহায়ক সরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজেই তখন যে সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো ক্ষমতায় থাকবে, সেই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তখন এ সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ২৯ জুন, ২০১৭, ৭:৩৪ এএম says : 0
    জনগণ সোজা সাপটা বুজে। ঘুর পেচ বুজে না। মানে না। দুই দিন আগে গোমতী সেতু পরিদর্শনের সময় বললেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। ঐ দিনের বক্ত্যবে জনগণ বুজলো, নির্বাচন কমিশনকে হয়ত ভারতের মত শক্তিশালী করা হয়েছে। আজ আবার বললেন, শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। বললেন, এটা সংবিধানিক কথা। এখন যে সংবিধানের কথা বলছেন, এটা ত জনগণের সংবিধান নয়। এই সংবিধান আপনারা চির দিন ক্ষমতায় থাকার আশায় ৫ মিনিটে পাস করছেন। জনগণ এই পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। আন্দোলন করছে। রাজ পথে রক্ত জরছে। বলছেন, বিএনপি আট বৎসরে আট মিনিট ও আন্দোলন করে নাই। বিএনপি র কোন নেতা রাস্তায় নামে নাই। আবার পরক্ষনেই বলছেন, বিএনপির লোকেরা রাস্তা ঘাটে পেট্রোল বোমা মারছে। রাস্তা ঘাটের গাছ পালা কাটছে। জনাব কাদের, জনগণ কি আপনাদের কথা বুজে না? হাঁ আন্দোলনে ক্ষয় ক্ষতি হয়। এই ক্ষয় ক্ষতির দায় কে নিবে। জনগণ নিবে? অবশ্যই ক্ষমতাশীল দলকে নিতে হবে। তবে এটা ক্ষমতা থাকতে বুজা যায় না। একটু পিছনে তাকাই, সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময় আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরশাদ সাহেব ক্ষমতা ছাড়ার পর এর মাসুল দিতে হয়েছে। এখন ও দিচ্ছে। জনগণের দাবী না মানলে সকলকেই মাসুল দিতে হয়। তাই পেচ পুছ নয়। সোজা সাপটায় আসুন। জনগণের প্রানের দাবী, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে দিন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur-Muhammad ২৯ জুন, ২০১৭, ৮:১১ এএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী, ক্ষমতার লোভ, বড়ই আকর্ষনীয়। বড় লোভনীয়। এই আকর্ষনে মানুষ নৈতিকতা ভুলে যায়। আদর্শ হতে বিচ্যুতি হয়। ক্ষমতার বলে মানুষ, অনৈতিকভাবে গাড়ী বাড়ী, টাকা পয়সা, জোড় জৌলসের মালিক হয়। ক্ষমতার জোড়ে প্রেসিডেন্টকে সরায়ে দেয়। কোটি কোটি টাকার বাড়ী দখলে রাখে। ক্ষমতার পর বাড়ী চলে গেলে কত মায়া কান্না করে। ক্ষমতা থাকলে, টাকা ও চাকরী নিজ লোকদের বিলানো যায়। ক্ষমতা হারালে কি এটা সন্ভব? তবে নীতি কথা হলো ক্ষমতা চির স্হায়ি নয়। একদিন ফুরুৎ পাখীর মত চলে যাবে। তাই আদর্শ ঠিক রেখে চলাই শ্রেয়। আল্লহ সকলকে এটা বুজার তৌফিক দেউক। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ