নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : কনফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে জার্মানি ও মেক্সিকো। দু’দলেরই উদ্দেশ্য ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করা। এজন্য সেরা ফুটবল খেলার প্রতিশ্রæতি জার্মানি ও মেক্সিকো খেলোয়াড়দের। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র’তে ‘বি’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কনফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালের টিকিট পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। অন্যদিকে সবাইকে চমকে দিয়ে দুই জয় ও এক ড্র’তে ‘এ’ গ্রæপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিতে নাম লেখায় মেক্সিকো। এই গ্রæপ থেকে পর্তুগালের সাথে স্বাগতিক রাশিয়ার সেমিতে খেলার সম্ভাবনাই বেশি ছিলো। কিন্ত গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে শেষ চারে উঠে আসে মেক্সিকো। তাই সেমিতে জার্মানির বিপক্ষে লড়তে হবে তাদের।
মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে ফাইনালে খেলার ব্যাপারে আশাবাদি জার্মানির কোচ জোয়াচিম লো, ‘যোগ্য দল হিসেবেই সেমিফাইনালে এসেছে মেক্সিকো। তাদের মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামবো এবং আমরা সেভাবেই আমাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছি। ফাইনালে খেলার দারুন সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। তাই দলের সবাই চাইছে সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে। ফাইনালে উঠতে পারলে, আমার কোচিং ক্যারিয়ার জীবনে এটি হবে আরও একটি বড় অর্জন।’
ফাইনালে উঠাকে বড় অর্জন দেখছেন জোয়াকিম লো। কারণ কনফেডারেশন কাপের কোন আসরেই এখন পর্যন্ত ফাইনাল খেলতে পারেনি জার্মানি। এই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের সর্বোচ্চ অর্জন তৃতীয়স্থান লাভ। সেটাও এক যুগ আগের ঘটনা। ২০০৫ সালের আসরে স্বাগতিক হয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিল জার্মানি। তবে এবার আসরের শিরোপা বন্ধ্যাত্ব ঘোচাঁতে মরিয়া দলের খেলোয়াড়রা। দলের ডিফেন্ডার স্কোদরান মুস্তাফির সুর তেমনই, ‘মেক্সিকো খুব আগ্রাসী ফুটবল খেলে। ফুটবলের স্টাইল ও পরিকল্পনা তারা পাল্টাতে পারে বিপক্ষ অনুযায়ী। ডিফেন্সে খুব সংগঠিত মেক্সিকো। ওদের দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের ধৈর্য ধরে খেলতে হবে। মেক্সিকোকে হারাতে আমাদের সঠিক রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।’
অন্যদিকে জার্মানিকে হারানোর জন্য পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে মেক্সিকোও। এমনটাই বললেন মেক্সিকোর গুরু হুয়ান কালোর্স অসোরিও, ‘আমরা দারুন ফুটবল খেলে সেমিফাইনালে এসেছি। ভালো খেলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং সেমির ম্যাচ জিততে চাই।’ ১৯৯৯ সালে একমাত্র ফাইনাল খেলেছিলো মেক্সিকো। এরপর আর কোন আসরের ফাইনাল খেলতে পারেনি তারা। তবে এবার তৈরি হওয়া সুযোগটা লুফে নিতে চায় ছেলেরা। জার্মানির বিপক্ষে জয় পেতে হলে মাঠে অনেক পরিশ্রম করতে হবে ছেলেদের। কারন জার্মানি সব বিভাগেই শক্তিশালী। তাই মধ্য মাঠকে ঘিরেই আমাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’ ১৯৯৯ সালে স্বাগতিক হিসেবে ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছিলো মেক্সিকো। -বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।