Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সর্বনিম্ন দরে কেনা হচ্ছে ১১ লাখ টন নন ইউরিয়া সার

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টন নন-ইউরিয়া (টিএসপি, এমওপি, ডিএপি এবং পাউডার এমএপি) সার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে কার্যাদেশ প্রদান ও এলসি খোলার প্রক্রিয়া।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টন নন-ইউরিয়া (টিএসপি, এমওপি, ডিএপি এবং পাউডার এমএপি) সার কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার সার আমদানি হচ্ছে। প্রাইস কোটেশন ঘোষণার কারণে ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়, এতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম দামে সার মিলছে।
জানা যায়, ৪ লাখ ৫০ হাজার টন ডিএপি আমদানির জন্য ৪৬ টি প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১০ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৪০ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৯ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ২ লাখ ৭৫ হাজার টন টিএসপি আমদানির জন্য ১৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১৬ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩২৪ ইউএসডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫৫ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ৩ লাখ ৫০ হাজার টন এমওপি আমদানির জন্য ৩২ প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১২ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য ২৪৫ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২৫৪.৪০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)। এছাড়া ২০ হাজার টন পাউডার এমওএপি আমদানির জন্য ৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ৩ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৩৯ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব বদিউল আলম জানান, সার আমদানির লক্ষ্যে গত ৫ জুন কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আর ২১ জুন এলসি খোলার অনুমতি পেয়েছে ব্যবসায়িরা। এবার কম মূল্যে সার প্রাপ্তির বিশ্লেষণ তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে সারের মার্কেট প্রাইস মনিটরিং সংস্থা এর ১৫ মে (সর্বশেষ) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ডিএপি সারের মূল্য ৩৪৭ থেকে ৩৬২ ইউএস ডলার। আর প্রাইস কোটেশন অনুযায়ি ৩৪০ থেকে ৩৪৯ ডলারের মধ্য সার পাচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও গত ১২ মে আমদানি করেছে ৩৫৭ থেকে ৩৬১.৮৫ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন এমওপি সারের মূল্য ২৫৫ থেকে ২৭০ ইউএস ডলার। আর আমদানি করা হচ্ছে ২৪৫ থেকে ৩৫৪.৪০ ডলারে। অথচ গত ৯ মে থাইল্যান্ডও আমদানি করেছে ২৫৩ থেকে ২৫৮ ডলারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সর্বনিম্ন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ