পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের ছাদের একাংশে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্টার। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে ওই ছাদের কিছু অংশ। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ও বারান্দার অংশে। এতে করে বিচার কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমন সব ঝুঁকি মধ্যে দিয়ে সবোর্”চ আদালতের বিচারপতিদের বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনসহ যে সব স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেসব বিষয় উল্লেখ আইন মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করি দ্রত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ছাড়াও রয়েছে একটি অ্যানেক্স ভবন। মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রধান বিচারপতির এজলাস ছাড়াও রয়েছে আপিল বিভাগের আরো দুটি বিচার কক্ষ। রয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের এজলাস ও চেম্বারের পাশাপাশি জাজেস লাউঞ্জ।
সরে জমিন ঘুরে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসের পশ্চিমপাশে তৃতীয় তলায় প্রশাসনিক অংশের একটি কক্ষের ছাদে বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আপাতত পানি পড়া বন্ধের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলে এমনটা হতো না। এখন তো আইন মন্ত্রনালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ফাটল থাকার কারনে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হলে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পানি পড়ে। এমনকি প্রধান বিচারপতি কোর্টের বারান্দার অংশেও। এমতাবস্থায় ভবনটি সংস্কারের জন্য প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে তা সংস্কারের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাইকোর্টের বিভিন্ন শাখায় প্রয়োজনীয় স্থান না থাকায় বিপুল সংখ্যক নথি স্তূপাকারে রাখা হচ্ছে কক্ষের মেঝেতে। ফলে নথিপত্র বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রায়শই নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন স্থান সংকুলানের ব্যবস্থাপনা করা না হলে ভবিষ্যতে মামলার নথি সংরক্ষণ করা দুরূহ হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে ৯৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। এদের অনেকের পৃথক চেম্বার (খাস কামরা) নেই। ফলে কোনো কোনো চেম্বারে দু’জন করে বিচারপতিকে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিচারকাজ পরিচালনার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত এজলাসেরও অভাব। মামলা জট নিরসনে হাইকোর্টে অধিকসংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলে চেম্বার ও এজলাসের বিদ্যমান সংকট আরো তীব্রতর হবে। এজন্য বর্তমান অ্যানেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে ২০ তলা ভিত বিশিষ্ট ১২ তলা আদালত ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানানো হয়। গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী ছাড়াও আইন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, স্থাপত্য অধিদপ্তরকেও ওই চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, মূল ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় আদালত কক্ষসমূহে নথি সংরক্ষণ, আদালত কার্যক্রম পরিচালনা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে মূল ভবনটির ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। এই সংস্কার কাজ করার জন্য এই ভবনে স্থাপিত আদালত কক্ষ এবং অফিসসমূহ সাময়িকভাবে অন্য কোনো ভবনে স্থানান্তর দরকার। কিন্তু নতুন অ্যানেক্স ভবন নির্মিত না হওয়ায় মূল ভবনের আদালত কক্ষ এবং অফিসসমূহ সাময়িকভাবে স্থানান্তর করে সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ অসুবিধা ও ঝুঁকির মধ্যে মূল ভবনে বিচার কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি আইনমন্ত্রীকেও অবহিত করেন। পরবর্তীতে গত ২০ জুন আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।