Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সভাপতি-সম্পাদক পদ আ.লীগের

পুলিশ প্রহরায় সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট পুনঃগণনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৪ এএম

পুলিশ প্রহরায় ভোট পুনঃগণনার পর রাতের আঁধারে পাল্টে গেলো সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ফলাফল। ইতিপূর্বের গণনায় ৩৯ ভোটে এগিয়ে থাকা বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজলের পরিবর্তে ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালকে। নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট মো. অজিউল্লাহ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ ঘেষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি এবং সম্পাদক সম্পাদকের দু’টি পদই আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের দখলে চলে গেলো। এর ছাড়া আরও ৭টি পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আ.লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল প্রার্থীদের। দু’টি সহ-সম্পাদকসহ ৭টি পদ দেয়া হয় বিএনপি সমর্থক ‘নীল প্যানেল’ প্রার্থীদের। এর আগে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি প্রধানের পদ থেকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ. ওয়াই মশিউজ্জামান পদত্যাগ করেছেন দাবি করে এ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইজীবী মো. অজিউল্লাহকে বসানো হয়।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের আব্দুন নূর দুলাল পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯১ ভোট। অপরদিকে বিএনপির ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল পেয়েছেন ২ হাজার ৮৪৬ ভোট। এর আগে অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনী সাব কমিটির গণনায় সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল ৩৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সহ-সভাপতি পদে মো. শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন, সদস্য পদে ফাতেমা বেগম, সাহাদত হোসাইন রাজিব ও সুব্রত কুমার কুন্ডুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ ও মাহবুবুর রহমান খান, ট্রেজারার মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সদস্য ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, গোলাম আক্তার জাকির, মো. মনজুরুল আলম সুজন ও কামরুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণার সময় বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা এ নির্বাচনী সাব কমিটির সব কার্যক্রমকে অবৈধ দাবি করে বলেছেন, অ্যাডভোকেট ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত সাব কমিটিই ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সম্পাদক পদের ফলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল, হাতাহাতি, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান, মিছিল- শ্লোগানে উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ প্রহরায় বার ভবনের কনফারেন্স লাউঞ্জে সম্পাদক পদের ভোট পুনরায় গণনা করে আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের গঠিত নির্বাচনী সাব কমিটি।

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন উপ-কমিটি নির্বাচন পরিচালনা করে। এর একদিন পর ১৭ মার্চ ভোট গণনা করে রাতে ফল ঘোষণার সময় আওয়ামী পন্থী আইনজীবী প্যানেল পক্ষের সম্পাদক প্রার্থীরা ভোট পুনর্গণনার দাবি করে লিখিত আবেদন দেন। এতে তখন ফল ঘোষণা আটকে যায়। ওই রাতে ফল ঘোষণা না করে মশিউজ্জামান সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এ ঘটনার এক মাস ১৩ দিন পর গত ২৬ এপ্রিল ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে ব্রিফিংয়ে বারের সাবেক সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ দাবি করেন, গত ১২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ এক সভায় তাকে আহŸায়ক করে ৭ সদস্যের একটি নির্বাচন উপ-কমিটি করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুপ্রিম কোর্ট বার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ