পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : ২০৩০ সালে বিশে^র জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৮শ’ ৬০ কোটি। তার মধ্যে শুধু ভারতের জনসংখ্যাই হবে ১৫০ কোটি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগের সর্বশেষ তথ্যে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশে^র জনসংখ্যা বর্তমান ৭শ’ ৬০ কোটি থেকে ২১০০ সাল নাগাদ ১১শ’ ২০ কোটিতে দাঁড়াবে। ২০০৫ সাল থেকে বিশে^ ১শ’ কোটি জনসংখ্যা যোগ হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ আরো ১শ’ কোটি যোগ হতে পারে বলে এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১শ’ ৩৪ কোটি বলে অনুমান করা হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ তা বেড়ে ১শ’ ৫১ কোটি হবে এবং শতাব্দী শেষে তা হ্রাস পেয়ে ১শ’ ৫২ কোটিতে আসার আগে ২০৫০ সাল নাগাদ ১শ’ ৬৬ কোটি হবে।
১শ’ ৪১ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে বর্তমানে বিশে^র সর্বাপেক্ষা জনবহুল দেশ চীন। ২০২৪ সালে উভয় দেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রত্যেকের ১৪৪ কোটি । এরপর ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, কিন্তু চীনের জনসংখ্যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকবে এবং তারপর কমতে থাকবে।
এতে বলা হয়, এখন থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ভারত, নাইজেরিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দি কঙ্গো, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া যুক্তরাষ্ট্র, উগান্ডা এবং ইন্দোনেশিয়ার মিলিত জনসংখ্যা হবে বিশে^র অর্ধেক।
এ প্রক্রিয়ায় ২০৪৭ সালে নাইজেরিয়া বিশে^র তৃতীয় জনবহুল দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা আনুমানিক ১৯ কোটি ১০ লাখ। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান জনসংখ্যা ৩২ কোটি ৪০ লাখ। ৩০ বছর পর এ জনসংখ্যা দাঁড়াবে যথাক্রমে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ এবং ৩৮ কোটি ৫০ লাখ।
পূর্বাভাসে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে এক কঠিন বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়, জাতিসংঘের কর্মচারীদের বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মহার (মহিলাদের কত বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে), মৃত্যুহার এবং নতুন যুক্ত হওয়া জনসংখ্যা গতিবেগের মত প্রতারক বিষয় নিয়ে অব্যাহত ভাবে কাজ করতে হয়। এই গতিবেগ বিষয়টি এ বছর প্রথমবারের মত যুক্ত হয়েছে।
বিশ^ব্যাপী জনসংখ্যা বাড়ছে। আফ্রিকার মত কোনো কোনো অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সামান্য কমে ৫.১ থেকে ৪.৭ হয়েছে , এশিয়াতে হ্রাস পেয়ে ২.৪ থেকে ২.২ হয়েছে। ইউরোপে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০৫-২০০৬ সালে ১.৪ থেকে বেড়ে ২০১০-২০১৫ সালে ১.৬ হয়েছে।
ভবিষ্যত জনসংখ্যা গণনায় জন্মহারের সবিশেষ গুরুত্ব সর্বশেষ রিপোর্টে প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে যা অনুমান করা হয়েছে জন্মহার যদি শুধু অর্ধেক শিশুর বেশী হয় তাহলে ২০৫০ সালে বিশ^ জনসংখ্যা পূর্বাভাসকৃত ৯শ’ ৭৭ কোটির স্থানে ১০৮০ কোটি হবে এবং ২১০০ সালে পূর্বাভাসকৃত ১১শ’ ১৮ কোটির জায়গায় ১৬শ’ কোটিতে দাঁড়াবে।
বিপরীতে যেমনটি অনুমান করা হয়েছে, জন্ম হার যদি অর্ধেক শিশুর কম হয় তার অর্থ ২১০০ সালে বিশ^ জনসংখ্যা হবে ঠিক ৭শ’ ৩০ কোটি।
জন্মহার হ্রাস সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ায়। ইউরোপে বয়স্ক জনসংখ্যার হার ২৫ শতাংশ যা ২১০০ সালে ৩৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
২০১৭ সালের তুলনায় ২০৫০ নাগাদ ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্ব বয়সী লোক সংখ্যা দ্বিগুণ হবে এবং ২১০০ সাল নাগাদ তা তিনগুণ হয়ে ২০১৭ সালের ৯৬ কোটি ২০ লাখ থেকে ২০৫০ সালে ২শ’ ১০ কোটি এবং ২১০০ সালে ৩শ’ ১০ কোটি হবে। বয়স্ক লোকদের সংখ্যা বাড়ার কারণ হবে আয়ু বৃদ্ধি যা এক শতকে ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে যে ২০১৭ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫১টি দেশে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে।
৮৩টি দেশে জন্মহার প্রতিস্থাপন পর্যায়ের নিচে প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু বহু দেশেই মাঝেমধ্যে কম বা বেশী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি, ইরান, যুক্তরাজ্য হচ্ছে এ রকম কিছু দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।