Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধে অচল দার্জিলিংয়ের জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বন্্ধ দশম দিনে পৌঁছাতে যাচ্ছে। বন্ধের কারণে শহরটির স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্ধে অচল হয়ে পড়েছে দার্জিলিংয়ের জনজীবন। বন্ধের কারণে দার্জিলিংয়ের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়রানির ভয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভাররা রোগী বহনে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া শহরটির বেশকিছু এলাকার কেবল টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সহিংসতা সৃষ্টিকারী গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ছয়দিন ধরে শহরটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, পাহাড়ে সব সময় পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিলিগুড়িতে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সব পাহাড়ি দল এ বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। গত বুধবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জানিয়েছে, শিলিগুড়ি ও রংপোর স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে বন্ধে ১২ ঘণ্টার বিরতি দেয়া হবে। এর আগে গত শনিবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। প্রসঙ্গত, দার্জিলিংয়ের নেপালি ভাষী গোর্খারা নতুন করে আন্দোলন শুরু করার পর পরিস্থিতি দমনে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত এবং একশোর বেশি আহত হয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারা অভিযোগ করছে পুলিশ সেখানে গুলি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দার্জিলিং-এর পাহাড়ে নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠার কারণ কী? স¤প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক নির্দেশ জারি করে দার্জিলিং-সহ রাজ্যের সব স্কুলে বাংলা ভাষা শেখানো বাধ্যতামূলক করে। বলা হচ্ছে, সরকারের এই নির্দেশই দার্জিলিং-এ বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য দার্জিলিং-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ গোর্খাদের মাতৃভাষা হচ্ছে নেপালি। আমরা বাঙালি নই। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা নয়। দার্জিলিং এর প্রায় সবাই কথা বলে নেপালি ভাষায়। কাজেই আমাদের কেন জোর করে স্কুলে বাংলা শেখানো হবে? প্রশ্ন তুলেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। মাসব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ডাক দেয়ার পর থেকে বিমল গুরুং এখন গা ঢাকা দিয়ে আছেন। তাদের ডাকা ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে দার্জিলিং। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। পিটিআই, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • রিফাত ২৪ জুন, ২০১৭, ৩:৪৩ এএম says : 0
    এই সমস্যার সমাধান হওয়া খুব জরুরী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ