মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে আবারো শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডা। টানা তিন বছর অভিবাসীদের জীবনযাপন ব্যয়ে শীর্ষে থাকার পর গত বছর লুয়ান্ডাকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান দখল করেছিল হংকং। তবে এ বছর সে অবস্থান থেকে একধাপ পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়ার শহরটি। বিশ্বের মানবসম্পদ-বিষয়ক পরামর্শদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান মারসারের বার্ষিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছর পাঁচ মহাদেশের ৪০০টিরও বেশি শহরের আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, পোশাক, গৃহস্থালি সামগ্রী ও বিনোদনসহ ২০০টির বেশি বিষয়-সংক্রান্ত ব্যয়ের তুলনা করে বার্ষিক জরিপ পরিচালনা করেছে মারসার। সব ক্ষেত্রে তুলনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও মুদ্রার ক্ষেত্রে ডলারকে ভিত্তি ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে মারসার। এ বছর মারসারের বার্ষিক জরিপে শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে এশিয়ার শহরগুলো। অভিবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল ১০টি শহরের মধ্যে পাঁচটিই এশিয়ার। মারসারের জরিপে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে হংকংয়ের পর রয়েছে টোকিও। গত বছর পঞ্চম স্থানে থাকা টোকিও এবার তৃতীয় স্থান দখল করেছে। এ বছর পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও অষ্টম সাংহাই। এ তালিকায় এ বছর ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। গত বছর মারসারের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ১৫তম অবস্থানে ছিল দেশটি। তবে মারসারের তালিকায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে মুম্বাইয়ের। গত বছর ৫৭তম স্থানে থাকা শহরটি এ বছর ২৫তম স্থান দখল করেছে। শহরটির দ্রæত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও স্থিতিশীল মুদ্রার কারণে এ পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। এদিক দিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির অবস্থান নাজুক। ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে শহরটি। মারসার এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার গেøাবাল মবিলিটি প্রধান মারিও ফেররারো বলেন, যদিও বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে এশিয়ার বেশকিছু শহর রয়েছে, তবু হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো আর্থিক কেন্দ্রের শহরগুলো এখনো মেধা আকর্ষণ এবং স্থানান্তরের জন্য পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মূলত মুদ্রার উত্থান-পতনের কারণে মারসারের তালিকায় ব্যয়বহুল শহরের অবস্থানের ওঠানামা হয়েছে। আমরা দেখেছি, মুম্বাইয়ের মতো বেশকিছু শহরের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। শক্তিশালী অর্থনীতি ও ক্রমবর্ধমান সুযোগের কারণে ওই শহরগুলোর অবস্থান এগিয়েছে। এদিকে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান কমায় মারসারের তালিকায় বেশির ভাগ চীনা শহরের অবস্থানের পতন ঘটেছে। অন্যদিকে শক্তিশালী ইয়েনের কারণে জাপানের অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। মারসারের জরিপে শীর্ষ দশে আবারো ফিরে এসেছে নিউইয়র্ক ও বার্ন শহর। এছাড়া জুরিখ ও জেনেভা শীর্ষ দশে রয়েছে। এদিকে একধাপ কমে বেইজিংয়ের স্থান হয়েছে ১১তম। পণ্য ও নিরাপত্তা খরচের কারণে লুয়ান্ডা আবারো শীর্ষস্থান দখল করেছে বলে মারসার জানিয়েছে। ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় এ বছর ১৭তম অবস্থানে রয়েছে সিডনি। এছাড়া রাশিয়ার রুবলের মান বৃদ্ধির কারণে মস্কো ও সেন্ট পিটার্স বার্গের স্থান এগিয়ে যথাক্রমে ১৪ ও ৩৬তম হয়েছে। ব্রেক্সিট গণভোটের পর ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান কমে যাওয়ায় ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ১৩তম থেকে নেমে ৩০-এ দাঁড়িয়েছে লন্ডন। মারসারের জরিপের তথ্য অনুসারে, অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহর হলো তিউনিস। এ তালিকায় আরো হয়েছে, কিরগিস্তানের রাজধানী বিশকেক ও মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়ে। বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।