পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল থেকে বিশেষ সংবাদদাতা : আষাঢ়ের আসন্ন অমাবশ্যার ভড়া কোটালকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া ক্রমশ দূর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠছে। গতকাল সন্ধা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে।
বর্ষাকে মাথায় করে দক্ষিন-পশ্চিম মওশুমী বায়ু দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশেই মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা হালকা থেকে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। গতকালও বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা প্রবল বৃষ্টি ঝরিয়ে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলকে সয়লাব করে দেয়। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারী রাখা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ আজ সকাল থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়া পরিস্থিতির সামান্য পরবর্তনেরও আভাস দেয়া হয়েছে। গতকালের প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের ঈদ বাজার পুনরায় মুখ থুবড়ে পড়ে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ১২০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার দুপুরেও বরিশাল মহানগরীতে মাত্র আড়াই ঘন্টায় ৫৮ মিলিমিটারের মত বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে ঈদের বাজার বার বারই হোঁচট খাচ্ছে। গতকাল হাজার-হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। বরিশালের বাণিজ্যিক এলাকা সদর রোডের বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতেই গতকাল অন্তত দশ হাজার নারী-পুরষ ও শিশু ঘন্টার পর ঘন্টা আটকা পড়ে ছিলেন।
গতকাল সংক্ষিপ্ততম সময়ে স্মরণকালের ভয়াবহতম বৃষ্টিপাতে নগরীর তিন-চতুর্থাংশ এলাকই পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসহ প্রতিটি পাড়া মহল্লাতেই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি প্রধান ফটকেই পানি ছিল প্রায় ৩ ফুট। মহানগরীর বেশীরভাগ ড্রেনগুলোই পালি ও ময়লা আবর্জনা জমে পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থার দূর্বলতার জানান দেয় আরো একবার।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। যা বাংলাদেশ হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। বরিশাল ও খুলনাসহ সমগ্র উপকূলীয় এরাকায় আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সে সাথে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কথাও বলা হয়েছে। মে মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৫.৯% কম বৃষ্টি হবার পরে এখন তা স্বাভাবিকের চেয়ে যথেষ্ট বেশি। চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ৪৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়ে আবহাওয়া বিভাগ থেকে ৪৩৫ থেকে ৫৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্ভাবাস দেয়া হলেও ইতোমধ্যে তা অতিক্রম করেছে। গত মার্চে বরিশালে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫২% ও এপ্রিলে ১৬০%-এর মত বেশী বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।