Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যু ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিডিসি’র গবেষণা প্রতিবেদন

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রতি বছর মার্কিন মুলুকে ১৭ বছরের কম বয়সী প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিশুর প্রাণ যায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে। গুরুতর আহত হয় আরো অন্তত ৫ হাজার ৮০০ জন। গত সোমবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, নিহতের ঘটনার প্রায় অর্ধেকই নিজ বাড়িতে ঘটে থাকে। আর এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ আত্মহত্যা করে। ছয় শতাংশ মৃত্যু দুর্ঘটনার কারণে হয়। বাকিগুলো হত্যাকান্ড কিংবা অন্যান্য কারণে ঘটে থাকে। নিহতদের মধ্যে ৮২ শতাংশই বালক। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় আকারের গবেষণা। সিডিসির গবেষক দলের প্রধান ক্যাথরিন ফওলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ আগ্নেয়াস্ত্র। প্রতিদিন অন্তত ১৯ জন শিশু আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মারা যাচ্ছে নয়তো গুরুতর আহত হচ্ছে। তিনি জানান, মার্কিন শিশুরা যখন পারিবারিক ও প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার মুখে পড়ে তখন তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি। আর আত্মহত্যার উপায় হিসেবে বেছে নেয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র। রাজ্য হিসাবে ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং লুজিয়ানায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর হার সর্বাধিক। এর আগে দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাসে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে রাজনৈতিক বাধার মুখে তার সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। শুধু শিশুই নয়, দেশটিতে প্রতি বছরই অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রাণ হারান। এসব ঘটনার অনেকগুলোই আত্মহত্যাজনিত। অনেকগুলো হত্যাকান্ড কিংবা অন্য কারণে ঘটে থাকে। বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ