পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলায় কোনো ধরনের ইন্ধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে, সরকারের বা দলের কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা নির্দেশ দেব; আমরা তাদের হাতে কেন ইস্যু তুলে দেব শুধু শুধু? কী প্রয়োজনে? হামলার ঘটনা সরকার কেন ঘটাতে যাবে প্রশ্ন তুলে কাদের বলেন, বিএনপি ঘটনার সাতদিন পরে সেখানে যাচ্ছে। তারা উপকুলে যায়নি। এমনিই তারা মাইনাসে আছে। আমি কেন প্লাস করতে যাব? আমি কেন তাদের ইস্যু দিতে যাব?
গতকাল সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহী, মিটার ছাড়া সিএনজি অটোরিকশা এবং অননুমোদিত এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়।
মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে? আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত দিতে পারে? ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা বলেছি একটা মতলবি মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারেরও একটা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এটা কারা করেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। শুধু শুধু আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন তারা না জেনে না শুনে। তাদের কাছে কি প্রমাণ যে এখানে আওয়ামী লীগ ঘটনাটা ঘটিয়েছে?
বিএনপি মহাসচিবের উপর হামলা পূর্ব পরিকল্পিত কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, না, আমি তা বলবো না। কারণ আমরা বলছি এটা খতিয়ে দেখবো। আমি এভাবে কেন বলবো?
কাদের বলেন, খুব রিমোট এলাকাতে এ ঘটনাটা ঘটেছে। তাদের যাওয়ার কথা ছিল রাউজান দিয়ে, তারা গেছেন রাঙ্গুনিয়া দিয়ে। যে কারণে পুলিশ সঙ্গে ছিল না। অন্যথায় পুলিশ কিন্তু তাদের সঙ্গে থাকত, যদি তথ্য সঠিকভাবে পুলিশকে দেয়া হতো।
তিনি বলেন, তারা তো যায়ইনি সময়মতো। তারা যাচ্ছে সাত দিন পরে। এমনি তাদের মাইনাস। সেখানে আবার তাদের না যাওয়ার, তাদের অজুহাত তৈরি করার; গøাস ভেঙেছে, হাতের একটা অংশ সেটাকে আবার সাদেক হোসেন খোকা সাহেবের মতো দেখাচ্ছে, উনি যে পরিস্থিতি করেছেন। মনে হচ্ছে যেন তাকে এমনভাবে আহত করা হচ্ছে, যে সিরিয়াস ইনজুরি নিয়ে হাসপাতাল গেছেন। এমনও নয়।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘœ যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কাদের
এদিকে, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘœ যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অবশ্য এজন্য তিনি বৈরী আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন। মন্ত্রী বলেন, টানা ভারী বর্ষণের মধ্যেও রাস্তাঘাট, মহাসড়কগুলো সচল আছে এবং এগুলো স্মুথলি চলছে। কিন্তু জেলা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টানা বর্ষণে। যে কারণে এবারকার যাত্রা খুব ভালো হবে, খুব স্বস্তিদায়ক হবে, এটা আমি দাবি করতে পারব না।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএ এর মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তবে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃষ্টি যদি কন্টিনিউ করে, তাহলে খুব কঠিন হবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। তারপরও এ চ্যালেঞ্জ যতটা সম্ভব সহনীয় করার জন্য এবং ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটে দীর্ঘদিন ধরে অসহনীয় ভোগান্তির শিকারে পরিণত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এবার টানা বৃষ্টির কারণে এই মহাসড়কে খানা খন্দক বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রীর কারণে সড়ক সরু হয়ে গেছে। ফলে ঈদ যাত্রায় ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ যাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। কখনও তা ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
মন্ত্রী বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার বিড়াম্বনা দূর করতে সড়ক পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুধু ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত সবার ছুটি বাতিল করেছি আমি।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের সমাবেশেই আমি ইফতার মাহফিলে আমরা অনেকেই ছিলাম, আমি সেখানে সবাইকে অনুরোধ করেছি তারাও বিষয়টাকে গ্রহণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।