ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
সরদার সিরাজ : স্বাধীনতার পর প্রতিটি খাতেই প্রতিষ্ঠান গড়ার হিড়িক পড়ে। তবে সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে বছর দশক যাবত। দেশের যত্রতত্রই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে শিক্ষা, চিকিৎসা, আর্থিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও কল-কারখানা, প্রচার মাধ্যম ইত্যাদি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে এসবের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব সরকারি পর্যায়ের চেয়ে বেসরকারি পর্যায়েই বেশি হয়েছে এবং কোন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কত তার সঠিক হিসেব নেই। কারণ, বেশিরভাগই অনিবন্ধনকৃত। যাহোক, দেশের সব খাতেই প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া কল্যাণজনক। যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, সে হারে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি না পেলে মানুষের সংকট হয়। দেশের উন্নতিও ব্যাহত হয়। তাই প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি কল্যাণকরই। কিন্তু বাস্তবিকভাবে কি তা হয়েছে? বিশেষ করে ব্যবসাভিত্তিক এবং ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে? নাকি প্রকট সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে? এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের মান এতো নীচু যে, তার নজির বিশ্বে কোথাও নেই। এসবের প্রডাক্টসের মানও নিম্নতর যা দেশে ও বিদেশে অচল। ফলে দেশের মারাত্মাক ক্ষতি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের নিম্নমানের জন্য। এ দু’টি খাতের সাথেই দেশের বেশিরভাগ মানুষের সংশ্লিষ্টতা বিদ্যমান। দেশের উন্নতিও জড়িত। এই দূরবস্থা এতোদূর গড়াতে পারতো না, যদি শুরু থেকেই মানের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু তা হয়নি। বরং কর্তৃত্ব পর্যায় থেকে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলা হয়েছে, দেশের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু চারিদিক থেকে যখন চিৎকার শুরু হয়েছে যে, সামলাও সামলাও সবকিছু রসাতলে যাচ্ছে, তখন সম্বিত ফিরে এসেছে। তাই সবকিছুতেই মান যাচাই করা শুরু হয়েছে।
একশানও নেয়া হচ্ছে। যেমন: বিধিসম্মত না হওয়ায় ১৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সনদের দায়-দায়িত্ব নিবে না সরকার বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে সরকার কোনো আপোস করবে না। যে কলেজে মানসম্মত শিক্ষক নেই, লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে হাসপাতালের শয্যা নেই, সেই কলেজ চালানোর কোনো দরকার নেই। তিনি আরো বলেন, সরকার এ বছর চারটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে। যেসব কলেজ দ্রæতসময়ের মধ্যে নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারবে না আগামী শিক্ষাবর্ষে তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ এর পর আইন কমিশন এক গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, ‘মেধারভিত্তিতে নয়, কেবলমাত্র অর্থের মাধ্যমে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে অযোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। এটাই দেশের চিকিৎসা খাতের দুরবস্থার অন্যতম কারণ’। একই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘এসব কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিরক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অনুমোদিত সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। আর এসব শিক্ষার্থীর ভর্তির যোগ্যতার মাপকাঠিই হচ্ছে কেবল অর্থ প্রদান। ফলে বেশিরভাগ মেডিক্যাল কলেজ প্রকারান্তরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার মানের ভয়াবহ অবনতি হয়েছে’। তদ্রæপ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে দেশের কারিগরি শিক্ষা খাতেও। এ ব্যাপারে খবরে প্রকাশ, ‘বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসমূহের শিক্ষার মান আজ দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে ৪৬১টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রহিয়াছে। তন্মধ্যে ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৩০টি। অবশিষ্ট চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের মান নিয়া খোদ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারাও সন্দিহান। কারণ, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি ও ওয়ার্কশপ নাই। ল্যাবরেটরি থাকিলেও তাতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ। নেই অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও’। অর্থাৎ দেশের শিক্ষাখাতের মানে মহাধস নেমেছে। আর এটা শুধু যে বেসরকারি পর্যায়েই হয়েছে, তা নয় সরকারি খাতেও হয়েছে। হয়তো কিছু কম-বেশি এই যা। এবার এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখার সময় কিছু কঠোর পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। ফলে রেজাল্টে ধস নেমেছে। অনুমেয়, দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাক্ষেত্রে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা হলে রেজাল্টে আরো ধস নামবে। এছাড়া, জিপিএ-৫, গোল্ডেন এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির বিশ্ব রেকর্ড সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক ডিগ্রি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করে সম্মান কোর্স চালু করা হয়েছে। কিন্তু সম্মানে পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। তাই ডিগ্রির ক্লাস নেওয়া শিক্ষকগণই সম্মানের ক্লাস নেন। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। অর্থাৎ সম্মানের শিক্ষার মান কমে গেছে। যেমন: সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষক এটা বুঝেনই না। ফলে এ ব্যাপারে তারা শিক্ষার্থীদের কিছুই বলতে পারেন না। তাই শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমারা কোচিংয়ে শিখে নিবে। তদ্রæপ হয়েছে ডিগ্রি কলেজে সম্মান চালু করায়। বিষয়টি নিয়ে ভাববার বিষয় রয়েছে বলে অনুমেয়। দেশের শিক্ষার মানই শুধু খারাপ নয়, সেই সাথে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও মান অত্যন্ত খারাপ। তাই বিশ্ব পর্যায়ে দূরে থাক, শুধু এই এশিয়ার শ্রেষ্ঠতম একশত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও নেই। ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও নয়। ঢাবিই দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। তার যদি এই হাল হয়, তাহলে এর নিম্নমানের অবস্থা কি বিশ্ব পর্যায়ে তা সহজেই অনুমেয়!
যা’হোক, দেশে এখন প্রচার মাধ্যমের সংখ্যা কত তা হঠাৎ করে বলা কঠিন। এর সংখ্যা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা নির্ণয় করা দূরহ। অবশ্য, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, ‘গত সাত বছরে ৭ শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক, ষান্মাসিক মিলে বর্তমানে দেশে ২৮ শতাধিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে সরকারি ৩টি টেলিভিশনচ্যানেলের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেল, ২১টি এফএম বেতার এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও স¤প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে’। অর্থাৎ দেশে প্রচার মাধ্যমেরসংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ভালো কথা। তথ্য জানা এবং বিনোদন পাওয়া মানুষের অধিকার। কিন্তু এগুলোর অবস্থা কি? মানুষের সে অধিকার কতটুকু পূরণ হচ্ছে প্রচারমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে? অতি সামান্য। কারণ, নিরপেক্ষভাবে যাচাই করলে দেখা যাবে, এসবের নগণ্য সংখ্যকই বাজারে আছে (বাকীগুলো কাজীর গোয়ালের মতো)। যেগুলো বাজারে আছে, তারও অনেকগুলো কাটিং এন্ড পেষ্টিং নির্ভর বিজ্ঞাপন খাওয়ার জন্য। বাকী যৎসামান্যই সচল আছে। তাদেরও মহাবিপদ সন্নিকটে। কারণ, কাগজ আমদানি, ছাপার প্লেট ও কালিসহ সংবাদপত্র শিল্পে অপরিহার্য বিভিন্ন পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কারণে হুমকিতে পড়েছে। তাহলে কি এদেশের মানুষ মিডিয়া বিমুখ? বাস্তবে তা মনে হয় না। এদেশের মানুষ আত্মহত্যা করে জি-বংলা, জি-টিভিসহ ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে না পেয়ে। মা তার শিশু সন্তানকে হাত-পা বেঁধে রাখে যাতে জি-বাংলার সিরিয়াল দেখতে অসুবিধা সৃষ্টি না করতে পারে বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ। এছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষায় প্রচারিত বেতারের অনুষ্ঠান, বিশেষ করে ডয়চে ভেলে, চীন, ইরান, বিবিসি, ভোয়া ইত্যাদি বেতারের লাখ লাখশ্রোতা আছে এ দেশে। সা¤প্রতিক সময়ে চালু হওয়া ‘বিবিসি প্রবাহ’ দেখার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এর শ্রোতা সংখ্যা প্রায় এক কোটি। এ ব্যাপারে উক্ত অনুষ্ঠানের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা শারমিন রহমান বলেন, ‘বিবিসি প্রবাহের শ্রোতা সংখ্যা এখন ৯৩ লাখ আর বিবিসি বাংলার ৭৭ লাখ। এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলে আমরা আশা করছি’। বিবিসির এতো বিপুল সংখ্যক শ্রোতা/দর্শক হওয়ার কারণ কি? কারণ মান। স্মরনীয় যে, বিবিসি ৬০ (নাকি ৪৫)টি ভাষায় খবর প্রচার করে। স¤প্রতি আরো ১৩টি ভাষা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডয়চে ভেলে ৩০টি ভাষায় প্রচারত করে। তদ্রæপ অন্য বেতারগুলোও। বিশ্বাস না হয় ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে সার্চ করলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে। আর এ দেশের বিটিভির নাম দেশের মানুষ প্রায় ভুলেই গেছে। কিন্তু ভুলে যায়নি একই চ্যানেলের ইত্যাদি অনুষ্ঠানের কথা। সব ধর্মের,সব বর্ণের,সব বয়সের, সব দলের-মতের লাখ লাখ মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে ইত্যাদি অনুষ্ঠান দেখার জন্য। কারণ, অনুষ্ঠানের মান ভাল। তুর্কী সাম্রাজ্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘সুলতান সোলেমান সিরিজ’ এ দেশে ব্যাপক ‘জনপ্রিয়’ হয়ে উঠেছে। এসব যখন শুরু হয়, তখন মানুষ ভারতীয় চ্যানেল দেখার কথা ভুলে যায়। ভাল জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষণ জন্মগতই। এটা শুধু এ দেশেই নয়-বিশ্বের যেকোন দেশেই এবং যেকোন প্রান্তেই।
যা’হোক, দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু সেসবের অবস্থা কি? কয়টা ব্যাংক ও বীমার শাখা আছে রাজধানী ঢাকার বাইরে? হাতে গোনার মতো কয়েকটির। তাও সামান্য কিছু স্থানে। তাও ব্যাংকের। বীমার নেই বললেই চলে। বীমা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খোদ রাজধানীতেই চরম খারাপ। তদ্রæপ গার্মেন্ট কারখানা ন্থাপন করা হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের অলিতে-গলিতেই। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো যখন কারখানার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচাই করা শুরু করেছে, তখন একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা মোবাইল ফোনেরও। মোবাইল ফোনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল দেশে। কিন্তু এখন টেলিটকছাড়া কোন কোম্পানির মালিকই দেশি নয়। সব বিদেশি। পরিচালনা করতে না পেরে বিক্রি করে দিয়েছে। আর সেই টেলিটকও টিকে আছে সরকারি ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে। নতুবা অনেকদিন আগেই মরহুম হয়ে যেত কিংবা বিক্রি করে দিতে হতো কোন এক বিদেশির কাছে। এভাবে দেশের বহু খাতের বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে মানসম্মত না হওয়ায়। আরো অসংখ্য বন্ধ হওয়ার পথে! এই করুণ পরিণতি হয়েছে শুধুমাত্র দক্ষভাবে পরিচালনার অভাবে। তাই যেকোন বিষয়ে সংখ্যা বিবেচ্য নয়-মানই বিবেচ্য। এটা যত তাড়াতাড়ি আমরা বুঝবো এবং বাস্তবায়ন করবো ততই কল্যাণ ব্যক্তির, প্রতিষ্ঠানের সর্বোপরি দেশের।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।