মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আশা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। লন্ডন ফায়ার কমিশনার ড্যানি কটন বলছেন, নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রেনফেল টাওয়ারের ভেতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয়তো নিখোঁজ অনেকে রয়ে গেছেন। এই সংখ্যাটা এখনো অজানা। তবে আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের। ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হবার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে নিখোঁজ বাসিন্দাদের বিষয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছেন স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবেরা। ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, কিভাবে এমন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো তার পূর্ণ তদন্ত করা হবে। খবরে বলা হয়, লন্ডন মেট্রোপলিট্রন পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে, সব লাশ পাওয়ার ব্যাপারে তারা নিজেরাই নিশ্চিত নন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডিকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে। আগুনের তান্ডবে ভবনটি একদম ছারখার হয়ে যাওয়ায় ১৭ প্রাণহানির পাশাপাশি কোনও কোনও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, নিহতদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। বলেছেন, দুঃখজনক হলেও একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে; নিহতদের প্রত্যেককে বোধহয় শনাক্ত করতে পারব না আমরা। প্রসঙ্গত, পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ার নামে বহুতল ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। লন্ডন সময় বুধবার প্রথম প্রহর, অর্থাৎ রাত একটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানালা দিয়ে নীচে লাফিয়ে পড়েছেন। এমনকি শিশু সন্তানকেও নিরাপদে রাখার জন্য জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। তারপরও ধোঁয়ার কারণে বহু মানুষ আটকা পড়েছিলেন ভবনটিতে, অনেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার কমিশানর মিস কটন জানান, পুরো ভবনটিতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু আগুনে পুড়ে ভেতরে এমন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে অভিযান চালানো হবে খুব জটিল ও কষ্টকর। আর যেহেতু ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে আগে সেই বিষয়টা ঠিক করে পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাতে হবে বলেও জানান মিস কটন। ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। তবে, ঠিক কী কারণে ও কিভাবে সেখানে আগুন লাগলো কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি। আগুন লাগার আগে নর্থ কেনসিংটনের ওই ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সেসময় ভবনের বাসিন্দাদের অনেকেই গুরুতর অগ্নিকান্ডে ঝুঁকির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।