Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘৭৫ এর এই দিনের বিভীষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় দেশে বিরাজমান

‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে খালেদা জিয়ার বাণী

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আবারো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার যেকোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার তাদের পুরনো পথেই হেঁটে যাচ্ছে এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে এবং খবরদারীর খড়গ ঝুলিয়ে রেখে তা নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের শংকা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ‘৭৫ এর এই দিনের বিভিষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় দেশে বিরাজমান রয়েছে। সেইজন্য অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
গতকাল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত ‘ ১৬ জুন সংবাদ পত্রের কালোদিন’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন এ আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকীঁগুলো বন্ধ করে দিয়ে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিলো। যার ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মী বেকার হয়ে পড়েছিলো। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল তাগিদ ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। মানুষের স্বাধীনতার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে যার বহি:প্রকাশ ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল-স্পিরিটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।
খালেদা জিয়া বলেন, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের কাঙ্খিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণ:প্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার তাদের পুরনো পথেই হেঁটে যাচ্ছে এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে এবং খবরদারীর খড়গ ঝুলিয়ে রেখে তা নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের শংকা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ‘৭৫ এর এই দিনের বিভিষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় দেশে বিরাজমান রয়েছে। সেইজন্য অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহব্বরে ঠেলে দিয়েছিল।  
ফখরুল বলেন, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বাতিল করেন বাকশালী আমলের সকল কালাকানুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বারংবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছে বিএনপি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান আওয়ামী সরকার পুরনো বাকশাল ভিন্ন কৌশলে কায়েম করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দল ও দমন-পীড়ণ অব্যাহত রেখেছে। দেশের সকল গণমাধ্যম সত্য প্রচারে শংকিত থাকে, না জানি কখন সরকারের রোষানলে পড়তে হয়।
বর্তমানে বিপন্ন গণতন্ত্র নিরাপদ করার স্বার্থে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে সাংবাদিক ভাই ও বোনদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহŸান জানান মির্জা ফখরুল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৭৫

৫ অক্টোবর, ২০২২
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৬ এপ্রিল, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ