Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ মাসে ৮৮৮ জনের প্রাণহানি

সংসদে ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ ৪ মাসে সারাদেশে ৯২৯টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত এবং ৭১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই বৈধ গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৫ হাজারটি। শুধু চলতি অর্থবছরেই ঢাকা মহানগরীতে ১ লাখ ৮০ হাজার ১৮টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে, এটি ঠিক নয়। বরং সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সরকারের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায় দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে সড়ক দূর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪২৭টি এবং ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৬টি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি জানান, সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস করতে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ধারাবাহিকভাবে প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসুচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলশ্রæতিতে সড়ক দূর্ঘটনা ও দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্যোগ হিসেবে সরকার সারা দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে ২২৭টি বø্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে শতাধিক বø্যাক স্পটে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বা অনুরূপ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকার দলীয় সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সরকার ২০০৯-২০১৬ মেয়াদে (বর্তমান সরকারের দু’মেয়াদের ৮ বছর) সারাদেশে ৭৩২টি সেতু এবং ৩ হাজার ২৩৪টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ করেছে।
আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গায় প্রায়শঃই অসাধু লোকজন দখল করে থাকে। এ সমস্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সকল সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে যে সকল স্থানে অবৈধ দখলদার আছে সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, মেহেরপুর ও পিরোজপুর এলাকায় উক্ত কার্যক্রম চলছে। মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রুপকল্প এর লক্ষে ২০২১ ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এমডিজি) ২০৩০ অর্জন, সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯-২০১৬ মেয়াদে মোট ২০৫ টি প্রকল্প শেষ ও ২৪৭ টি নতুন প্রকল্প গ্রহন করেছে। একই সময়ে অনুন্নয়ন খাতের আওতায় ৬৯৭.৪০ কি মি মহাসড়ক পূনর্বাসন, ৪ হাজার ২৫৮. ৮২ কি মি. মহাসড়ক কার্পেটিং, ৫ হাজার ৮১৩. ২৩ কি মি. ওভারলে এবং ১ হাজার ৭৬৯. ৪১ কি মি. ডিবিএসটি করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯-২০১৬ মেয়াদে ৩৬ হাজার ৮৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেন বা তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ