পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, “আমি কী করিনি ভূমিকে বিছানা, পর্বতমালাকে পেরেক?” আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, “যেদিন সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে তখন তোমরা দলে দলে সমবেত হবে, আকাশ বিদীর্ণ হবে, তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে, পর্বতমালা চালিত হবে, মরীচীকা হয়ে যাবে”।
পবিত্র কোরআনের সুরা নাবা (৭ ও ৮নং আয়াত) উল্লেখ করে বিশিষ্ট কলামিস্ট, বিটিভির উপস্থাপক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত খতিব মাওলানা মনিরুল ইসলাম রফিক গতকাল (বুধবার) ইনকিলাবকে জানান, কোরআন মজিদের বেশকিছু জায়গায় পাহাড়-পর্বতের কথা বিস্তারিত বলা হয়েছে। কোরআন মজিদের অন্তত ১২টি সুরায় পাহাড়-পর্বতের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে। যা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও রহস্যময়। তিনি বলেন, কোনো কোনো জায়গায় আল্লাহতায়ালা বলেছেন, পাহাড়ে যে পাথরগুলো থাকে তা হয় দুই ধরনের। কোনোটি প্রাণসম্পন্ন কোনোটি প্রাণহীন।
এমনকি কোনো কোনো পাথর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত বা চালিত হয়। হাদীস শরীফেও রয়েছে, পাহাড়ের পাথরগুলো আল্লাহর নামে জিকির করে। সুতরাং কোরআন শরীফের তাফসীর থেকে আমরা বুঝি, পাহাড়-পর্বত আল্লাহতায়ালার মহারহস্যময় সৃষ্টি। যেমন রহস্যময় সাগররাজি। মাওলানা রফিক আরো বলেন, কাজেই আমরা মনে করি, পাহাড়কে পাহাড়ের মতো থাকতে দেয়া আল্লাহপাকের মর্জি এবং সেটিই সৌন্দর্য। মানুষ পাহাড়ে বসবাস করবে, সম্পদ আহরণ করবে। কিন্তু পাহাড়কে ধ্বংস ও বিকৃত করে নয়। পাহাড় কেটে ধ্বংস করা ও ধ্বংস হওয়া সবই বিভিন্ন প্রলয়ংকরী পরিস্থিতির আলামত। আজকের বিজ্ঞানও সে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বীকার করছে।
‘পাহাড়-পর্বত পৃথিবী নামক গ্রহের ভারসাম্য রক্ষাকারী পেরেক’। পাহাড়ের গূঢ় তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে ইসলামের উপরোক্ত সুস্পষ্ট মূলনীতির সাথেই বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত সম্পূর্ণ মিলে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।