রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শিহাব মল্লিক, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) থেকে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৫২৫০ হেক্টর গম, ৪০৫০ হেক্টর মশুর ও ৬১৩৫ হেক্টর পিঁয়াজক্ষেত রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ বৃষ্টির পর অধিক ভ্যাপসা গরমে এসব ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে পিঁয়াজ ক্ষেতে পাতামরা রোগ দেখা দিলেও দেরিতে রোপণকৃত কিছু কিছু এলাকার ফসল ভাল রয়েছে। উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, এ বছর শীত কম পড়ায় গমের ফলন কম হয়েছে এবং গরমের পরপরই বৃষ্টিতে ফুল-ফলে ভরে ওঠা মশুর ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। আবহাওয়া জলবায়ুগত কারণে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষিরা তাদের কাক্সিক্ষত ফসল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রতিটি বছরের ন্যায় এবারও চাষিরা রবি ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে স্বাভাবিক শীত থাকলেও তুলনামূলক গম ক্ষেতের জন্য এ বছর পর্যাপ্ত শীত ছিল না, তবুও কৃষি অফিসের পরিসংখ্যান মতে মাঠজোড়া ৫২৫০ হেক্টর গম, ৪০৫০ হেক্টর মশুর ও ৬১৩৫ হেক্টর পিঁয়াজ ক্ষেত আবাদ হয়েছে। গমের দানাবাঁধার উপযুক্ত সময় ফেব্রুয়ারিতে মাঝারি কুয়াশা আর শীতের বদলে গরম পড়া শুরু হয়। এ সময় ফুলে ছেয়ে যায় মশুর ও পিঁয়াজের আবাদ কিন্তু জলবায়ুগত কারণে রবি ফসল তাদের প্রয়োজনীয় আবহাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে শুরু হয় ফলন বিপর্যয়। মনোহরপুর গ্রামের চাষি আব্দুল মতিন জানান, এ বছর বিঘা প্রতি মশুরের ফলন হবে ২ থেকে ৩ মণ যা গত বছর ছিল ৩ গুণ। বিজুলিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লা বলেন, গরমে মাঠের পর মাঠ গম কালো হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে, সবুজ ফসলের বুকে এখন শুধুই খরার ঘা, গম চাষিদের মাথায় হাত উঠেছে। মাঠজোড়া শীতপ্রধান এ ফসলের ঢেউ চাষিদের দারুণ বিপাকে ফেলেছে, এ বছর গমের খরচ ওঠায় যেন দায়ভার। ব্রহ্মপুর গ্রামের আশরাফ আলী জানান, প্রতিটি গমের ঢোগায় প্রথমে সাদা হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই কালো রং ধারণ করছে। অপরদিকে পিঁয়াজক্ষেতের পাতামরা রোগ শুরু হয়েছে। আবাদী ফসল রক্ষায় নানা চেষ্টা ভেস্তে গিয়ে ১৪টি ইউনিয়নের রবি ফসল চাষিরা চিন্তিত হয়ে উঠেছে। কীর্ত্তিনগর গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, চৈতালীর দিকে চেয়ে থাকা কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে, গরমের পর বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে ফুলেভরা মশুরসহ অন্যান্য ক্ষেত। পর্যাপ্ত শীতের পরিবর্তে ভ্যাপসা গরমে এ বছর রবি ফসরের ফলন বিপর্যয়ে পড়েছে বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা। এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, শীত কম পড়ায় রবি ফসল বিপাকে পড়েছে, গরমের পরপরই বৃষ্টিতে ফুল-ফলে ভরে ওঠা মশুরক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষিরা তাদের কাক্সিক্ষত ফসল থেকে এ বছর বঞ্চিত হতে যাচ্ছে। তবে সব মাঠেই এখনো পিঁয়াজের পাতা মরা শুরু হয়নি, সেচসহ অন্যান্য পরিচর্যা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।