রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
দেশব্যাপী চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। প্রথম ধাপে আগামী ২২ মার্চ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মামলা, হামলা, আতঙ্কের কারণে কুমিল্লার অধিকাংশ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী গোছানো যেখানে সময়ের ব্যবধানে কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে দল থেকে নির্বাচন করার টিকিট পাবার পরও দেবিদ্বারে মনোনয়ন বাণিজ্যের শিকার হচ্ছেন প্রার্থীরা। কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে মনোনয়ন প্রাপ্তির বিপরীতে চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন সুলতানপুর ইউনিয়নের বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: জাকির হোসেন। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন পান তেজারত কোম্পানীর ব্যবসায়ি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য জাকির হোসেন। গত রোববার কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে দেবিদ্বারের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর প্রতি অভিযোগের তীর তোলেন জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর দেবিদ্বারের গুনাইঘরের বাড়িতে গিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করি। ওই সময় মঞ্জুর মুন্সি দলীয় ফান্ডের জন্য আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম কন্ট্রাকটরের মধ্যস্থতায় দাবিকৃত টাকার পরিমান ৮ লাখে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে চাপের মুখে পড়ে আমি লোক মারফত বাড়ি থেকে নগদ ২ লাখ টাকা এনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর হাতে দেই। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি বাকি টাকার জন্য মঞ্জুর মুন্সী তার বাড়িতে আসার জন্য আমাকে খবর দেন। আমি তার বাড়িতে গেলে তিনি বাকি ৬ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন। পরে বাধ্য হয়ে আবারও লোক মারফত বাড়ি থেকে ব্র্যাক ব্যাংক কুমিল্লা চকবাজার শাখার চেক বই এনে ৩ লাখ করে ৬ লাখ টাকার দুইটি চেক মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে দেই’। সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমি দলের সাবেক এমপি মঞ্জুর মুন্সীর জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের তার ক্যাডারদের দিয়ে আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কারণ একটাই, বাকি ৬ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করতে হবে। নতুবা চেক ডিজঅনার মামলা করবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় মাইক বের করতে দেয়া হচ্ছে না। আমাকে একদিকে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন, অন্যদিকে তার লোকজন হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সুলতানপুর ইউনিয়নবাসী আমার পক্ষেই ছিল। সেখানে আ’লীগের তিন প্রার্থী। আমার জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দলের নেতা মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এবং আমার বিপক্ষে তার অবস্থান থাকায় প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ালাম’। এ বিষয়ে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ আছি, এখন কথা বলতে পারব না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।