নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৪৪.৩ ওভারে ১৯১/১০
ভারত : ৩৮ ওভারে ১৯৩/২
ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : জসপ্রীত বুমরাহ (ভারত)
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচটির কথা নিশ্চয় ভুলে যায়নি লক্ষ-কোটি টাইগার ক্রিকেট প্রেমিরা। ভারতের বিপক্ষের সেই ম্যাচর কথা বাংলাদেশীদের মনে আছে যতটা না হারের কারণে, তার চেয়েও বেশি আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে। যে ঘটনার প্রতিবাদে আইসিসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে তখন সেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছিলেন আ ফ ম মুস্তাফা কামাল।
সেই ভারতকে আরো একটি আইসিসির বৈশ্বিক আসরে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলো বাংলাদেশ। এখনো অবশ্য নিশ্চিত নয়, তবে অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। এবারের মঞ্চটা বিশ্বকাপের মত অত বড় না হলেও একেবারে ছোটও নয়। তবে এবারের পর্বটা কোয়ার্টার ফাইনালর চেয়েও বড়Ñ সেমিফাইনাল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে প্রতিশোধ নিয়ে বিশ্ববাসীকে আরো একবার বাঘের গর্জন শুনিয়ে দেওয়ার মোক্ষম উপলক্ষ বটে। পারবেন সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহরা?
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফের সেই মহাকাব্যিক জয়, আর আসরের পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হারÑ দুইয়ে মিলে সেমিফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। সেখানেই সম্ভব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেয়েছে টাইগাররা। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করে বিরাট কোহলির দল।
হারলেই বিদায় নিশ্চিত, বিজয়ী দল যাবে সেমিতে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা কেমন করে সেটাই ছিল এই ম্যাচে আগ্রহের একটা বিষয়। কিন্তু তাদের নামের পাশে থাকা ‘চোকার’ শব্দটাকে সত্য প্রতিপন্ন করে আরো একবার ভেঙে পড়ল প্রেটিয়ারা। আসরের সবচেয়ে বেশিবার (৫) সেমিফাইনালে খেলা দলটি এবার বিদায় নিলো গ্রæপ পর্ব থেকেই।
অথচ টপ ফেভারিট হয়েই আসর শুরু করেছিল ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি টেস্ট খেলা থেকেও বিরত ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু ব্যাট হাতে তার ব্যার্থতাই যেন প্রতীক হয়ে থাকল দলীয় ব্যার্থতার। গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে তার রানের গড় ৬.৬৬! তিন ম্যাচের কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও এত বাজে ব্যাটিং করেননি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যান।
গতকাল ভারতকে জিতিয়েছে মুলত আগের ম্যাচে ব্যর্থ প্রমাণিত হওয়া বোলিং লাইনআপ। তবে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলতে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা দুই ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স ও ডেভিড মিলারের রান আউট। ২ উইকেটে ১৪০ থেকে মুহূর্তের ঝড়ে ৪ উইকেটে ১৪২! আর পথ খুঁজে পায়নি প্রেটিয়ারা। ৭৫ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে তারা গুটিয়ে গেল ১৯১ রানে। অথচ ডি ককের (৫৩) ব্যাটে ভর করে একসময় তাদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১১৬। ২টি করে উইকেট নেন ভুবেনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরাহ, একটি করে রভিচন্দ্রন আশ্বিন, হৃদ্বিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা। দুটি উইকেটের পাশাপাশি মিলারের রানআউটের বিবেচনায় ম্যাচসেরা হন বুমরাহ।
ভারতের জয়ের ভীত রচিত হয়েছিল তখনই। এই রানেও শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ নিয়ে চ্যালেঞ্চ জানাতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটা নিশ্চয় এই পিচে নয়। এর আগে তিনশোরও বেশি রান করে হারতে হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশকে। ২৩ রানে রোহিত শর্মাকে হারিয়েও তাই ব্যাটসম্যানদের সুরে কথা বলা পিচে উৎসব করেন শেখর ধাওয়ান-বিরাট কোহলিরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটিতে ম্যাচ তালুর মধ্যে নিয়ে নেন ধাওয়ান-কোহলি। ধাওয়ান ৮৩ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রানে ফিরলেও ১০১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৭৬ রানে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন চেজিং মাস্টার কোহলি। ডুমিনিকে মিডিল ও লেগ সাইডের মাঝখান দিয়ে উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে ম্যাচের ইতি টানেন যুবরাজ সিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।