Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গার্মেন্টস মালিক গ্রেফতার

| প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা
জঙ্গিবাদে অস্ত্র ও অর্থসহায়তার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জিম টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে ইমরান আহমেদ ও তাঁর গাড়িচালক মো. শামিমকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান আহমেদ জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি কেন্দ্রীয় দাওয়াবিষয়ক কমিটির শুরা সদস্য ছিলেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইমরান আহমেদের সম্পৃক্ততা কতটুকু সে সম্পর্কে মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, আতিয়া মহলে অভিযানের আগে সাজিদ নামের এক ব্যক্তি পালিয়ে যান। তিনি ঢাকায় এসে ইমরান আহমেদের মহাখালীর বাসায় আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। সাজিদ জেএমবির নতুন আমিরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর। নতুন এই আমিরের নাম আবু মুহারিব।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, সাজিদ ছাড়াও জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেককেই ইমরান তাঁর বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং অর্থ সাহায্য করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এই তালিকায় জুন্নুন শিকদারও আছেন। ধারণা করা হচ্ছে জুন্নুন শিকদার সিরিয়ায় রয়েছেন। গত বছর র‌্যাবের অভিযানে আবদুল হাকিম গ্রেফতার হন। স¤প্রতি ইমরান আইনি সহযোগিতার জন্য আবদুল হাকিমের স্ত্রীকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। অস্ত্র, গোলাবারুদ ও দাওয়াতি উপকরণ উদ্ধার হয়েছে ইমরানের কারখানা ও বাসা থেকে।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পেরেছে, জেএমবি এখন দাওয়াতি কার্যক্রমে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। ইমরান গুলশান, বনানী ও মিরপুর এলাকায় জেএমবিতে সদস্য সংগ্রহের কাজ করতেন। এ ছাড়া দেশের ১০টি জেলায় দাওয়াতি কমর্কান্ড সমন্বয়ের কাজও তিনি করছিলেন বলে জানিয়েছেন।
গত এপ্রিলে ইমরান বগুড়ার সোনাতলার একটি বাড়িতেত অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে এই দায়িত্ব¡ আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে পান। ওই বাড়ির মালিক শায়খ এনামুল। বৈঠকে জেএমিবর ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি দাওয়াতি শুরা বোর্ড গঠন করা হয়। দাওয়াতি শুরা বোর্ডের আমির নির্বাচিত হন ঢাকার নন্দীপাড়ার কুরআন-সুন্নাহ একাডেমির শায়খ আরিফ এবং নায়েবে আমির নির্বাচিত হন শায়খ এনামুল। জেএমবির প্রধানের দায়িত্ব পালনকারী আবু মুহারিবের কাছ থেকে এই প্রধান। তিনি আবু মুহারিবের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন। এই যোগাযোগ হতো অ্যাপসের মাধ্যমে। সাজিদ ছাড়াও সানজিদ, আরমান ও লাল ভাইসহ আরও বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে তাঁর। মুসা নিহত হওয়ার পর আইয়ুব বাচ্চু নামের একজন জেএমবির হাল ধরেছিলেন বলে সপ্তাহখানেক আগে জানায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। এখন র‌্যাবের পক্ষ থেকে আবু মুহারিব ও সাজিদের কথা বলা হচ্ছে। আসলে কোন তথ্যটি সঠিক জানতে চাইলে মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিদের প্রায় প্রত্যেকের একাধিক নাম আছে।



 

Show all comments
  • আমান মালেক ১২ জুন, ২০১৭, ২:৩৮ এএম says : 1
    দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই বুঝতেছি না।
    Total Reply(0) Reply
  • ১২ জুন, ২০১৭, ৪:৩০ পিএম says : 0
    দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নাই্..
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গিবাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ