পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের অন্যতম শরিক রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার সাথে সাথে কমিশনে পূর্বের মতো আবারো বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তারা বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কেও অযাচিত মন্তব্য করছেন। নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চান বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনা করা তাদের দায়িত্ব? এই ক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কি বলার থাকতে পারে তা বোধগম্য নয়। দলের ৯ ও ১০ জুনে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর দু’দিনের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে এসব কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকটের সাথে কমিশনের বৈঠকে ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রæয়ারি ভোটারহীন ভোটের নির্বাচনকে ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সাথে এক কাতারে ফেলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কমিশনও সেই মন্তব্যের সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছেন। এর লক্ষ্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোটকে একইভাবে বিবেচনা করা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পর যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতও কমিশনের সাথে বৈঠক করেছেন। সামনে অন্যরাও আসবেন। প্রস্তাবে বলা হয় নির্বাচন কমিশন একটি সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তদুপরি এটা অন্যদেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কমিটির কর্তাব্যক্তিদের রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করায় ঐ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ঐ অভিযোগের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ঐ কর্তব্যব্যক্তিকে পদত্যাগও করতেও বাধ্য হয়েছেন।
পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি নির্বাচন সম্পর্কে পার্টির অবস্থান ও প্রস্তুতির বিষয়ে রিপোর্ট প্রদান করেন। আলোচনায় অংশ নেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুরুল হাসান, ড. সুশান্ত দাস, নুর আহমদ বকুল, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মনোজ সাহা, হাজেরা সুলতানা এমপি, কামরূল আহসান ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করা হয় সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন সবাই কামনা করে। কিন্তু তার অর্থ সংবিধান বহির্ভূতভাবে তথাকথিত সহায়ক অথবা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নয়। নির্বাচন সংবিধান অনুসারে সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এই বাস্তবতা মেনেই সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।
পলিটব্যুরোর অপর এক প্রস্তাবে ১৪ দলের অসা¤প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চরিত্র, তার আদর্শ ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার আহŸান জানিয়ে স¤প্রতি সময়ে খুন, ধর্ষণ, গুম-অপহরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিশেষভাবে একে কমানোর জন্য মাদকাসক্তি ও মাদক বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।