নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ও স্থায়ী সদস্য বাদল রায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বুধবার সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সেখানকার গেøনঈগলস হাসপাতালে ডা. টিমোথি লি’র অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বাদল রায়কে এই হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর প্রথমে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ওষুধের মাধ্যমে তার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু পরে তাদের চেষ্টার কোন ফল না আসায় অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় গেøনঈগলস হাসপাতালে বাদল রায়ের জটিল এই অপারেশনটি শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় (রাত পৌনে ৯টা) তার অপারেশন চলছিল। তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বাফুফে সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ডা. টিমোথি লি’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি বাদল রায়ের চিকিৎসার সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এদিকে অন্য একটি সুত্রে জানা গেছে, আগের দিন যখন বাংলাদেশ থেকে বাদল রায়কে এয়্যার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছিল তখন বাফুফের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দেশের ফুটবলাঙ্গনে অনেকের মাঝেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর ওয়ারিস্থ নিজ বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার আইসিইউতে রাখা হয় সাবেক এই ফুটবলারকে। চিকিৎসকেরা জানান, বাদল রায়ের মস্তিস্কে মৃদু রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার জ্ঞান থাকলেও শরীরের বাঁম দিকের কিছুটা অবশ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাদল রায়ের এমআরআই করা হয়। তবে রিপোর্ট দেখে খুব ভালো খবর শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। ওই রাতেও বাদল রায়ের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। মস্তিষ্কে আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর পরামর্শ দেন। খবরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে গেলে তিনি তড়িৎ নির্দেশ দেন বাদল রায়কে সিঙ্গাপুর পাঠাতে। যার ফলশ্রæতিতে তাকে বুধবার রাতে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
বাদল রায় আশির দশকে বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম সেরা একজন তারকা ফুটবলার ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন মোহামেডান শিবিরে। ১৯৮১ ও ১৯৮৬ সালে ছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক। তার অধিনায়কত্বে ১৯৮৬ সালে মোহামেডান লিগ শিরোপা ঘরে তুলে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়েও মাঠ মাতিয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার। খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ফুটবলকে আর ছাড়তে পারেননি তিনি। একবার সহকারী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর বাদল রায় বাফুফের টানা তিনবারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি। পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধক্ষ্যের দায়িতও¡ পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।