Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাতানো ম্যাচ খেলে শাস্তি পেল দুই ক্লাব

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে পাতানো খেলার ইতিহাস বেশ পুরনো। অতীতে এই পাতানো ম্যাচ নিয়ে বহু মুখরোচক কাহিনী রয়েছে। ফুটবলের মরণব্যাধি আখ্যা পাওয়া পাতানো ম্যাচের যাতাকলে পড়ে অনেক নামী-দামী ক্লাবকে নিজেদের সুনাম হারাতে হয়েছে। বর্তমানে পেশাদারিত্ব আসলেও এই ব্যাধি মুক্ত হতে পারেনি দেশের ফুটবল। সদ্য সামাপ্ত সাইফ পাওয়ারটেক সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগেও হয়েছে নির্লজ্জ পাতানো খেলা। যার অপরাধে শাস্তি পেল  ঢাকা ইউনাইটেড ক্লাব ও ফ্রেন্ডস সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। এ দুই ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ইউনাইটেড ক্লাবের অধিনায়ক মশিউল কবির বাপ্পি ও গোলরক্ষক নুর আলম আলীকে দু’বছর এবং একই ক্লাবের স্টপার ব্যাক দেওয়ান মো. জুয়েলকে দেশের সকল প্রকার ফুটবল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছেন দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাও।
গতকাল ঢাকা মহানগরী ফুটবল লীগ কমিটির (মফুলীক) সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান মফুলীক চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ। তবে এটা মফুলীকের সিদ্ধান্ত হলেও আরও বড় শাস্তির জন্য বিষয়টি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। হারিুন বলেন, ‘আমাদের বাইলজে যা রয়েছে সেই অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়েছে। তবে এদের আরও বড় শাস্তি হওয়া উচিত। যা কেবলমাত্র বাফুফেই দিতে পারে। তাই আমরা তাদের কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দিয়েছি।’
গত ২১ মে সিনিয়র বিভাগ ফুটবল লিগে ঢাকা ইউনাইটেড ও ফ্রেন্ডস সোস্যাল ম্যাচটি পাতানো হয়েছে। এ বিষয়ে হারুনু রশিদের কথা, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলার পরও ঢাকা ইউনাইটেডের অধিনায়ক মশিউল কবিরের বক্তব্য, এমন গোল হতেই পারে। কি নির্লজ্জ পরিভাষা।’ জরিমানার পাশাপাশি দল দু’টিকে সরাসরি দ্বিতীয় বিভাগে অবনমিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফ্রেন্ডস সোস্যাল ওয়েলফেয়ারের হয়ে বক্তব্য দেয়ায় শাস্তির খড়গে পড়তে পারেন এএফসির বেতনভোগী বাফুফের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী। তবে তিনি বাফুফের নিয়ন্ত্রণাধীন কোচ বলে শাস্তির বিষয়টি বাফুফের কোর্টেই ঠেলে দিয়েছে মফুলীক। হারুনুর রশিদ আরও বলেন, ‘বলে কয়ে পাতানো ম্যাচ খেলা ন্যাক্কারজনক। এমন ঘটনায় টনক নড়েছে সবার। তাই আমি খুশী। তবে আমাদের বাইলজে খুব বড় কোন শাস্তির বিধান নেই। তাই যতটুকু ছিল সবটুকুই প্রয়োগ করা হয়েছে। বাকিটা বাফুফের হাতে।’ কেবল এই দু’দলের ম্যাচই নয়, এবারের সিনিয়র ডিভিশন লিগে ছয়টি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ছিল। এ বিষয়ে হারুনুর রশিদের কথা, ‘আমাদের কাছে অন্য ম্যাচের কোন প্রমাণ নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ