Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

তানোর মুন্ডুমালা হাটে খাজনার নামে ইজারাদারের চাঁদাবাজি

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মমিনুল ইসলাম মুন, (তানোর) রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুÐুমালা পৌরসভার মুÐুমালা হাটে খাজনা আদায়ের নামে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। একারণে উপজেলার একমাত্র নাম করা গরু হাট এখন ভেঙ্গে যেতে বসেছে। পৌরসভার বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হবার পর তিনি তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে হাটটি পরিচালনা করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া হাটটিতে টোল আদায়ের নামে ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়ের কাছ থেকে খাজনার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে লক্ষাধিক টাকা বেশি দিয়ে ৯১ লক্ষ ৮১ হজার টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন মেয়রের আস্তাভাজন নুরুল ইসলাম। শেয়ারদার হচ্ছে বাধাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলার আমিন,  সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান। গত বছর হাটটির ইজারা মূল্য ছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ হাটে মেয়র নিজে প্রভাব খাটানোর কারণে চাঁদাবাজি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  
ক্রেতা-বিক্রেতাগণের অভিযোগ, নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন পণ্যর নাম উল্ল্যেখ করে খাজনার তালিকা হাটের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো থাকলেও তা ঝুলানো হয়না। কিন্তু হাটের ইজারাদার টোল আদায়ের কোনো সাইনবোর্ড আজও দেননি। যার ফলে অতিরিক্ত টোল আদায়ে চলছে ফ্রি স্টাইলে চাঁদাবাজি। অভিযোগে প্রকাশ এসব আদায়কৃত চাঁদার কোনো রশিদ দেয়া হয়না অনেক সময়।
সরকারি নিয়মে একটি ছাগল বিত্রিæ হলে ক্রেতা অথবা বিক্রেতাকে ১৩০ টাকা খাজনা প্রদান করতে হবে। কিন্তু হাটের ইজারদার ক্রেতার কাছ থেকে ২৫০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০ টাকা আদায় করছেন। এছাড়া একটি গরু ক্রয়ে ২০০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও জোরপূর্বক ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বিক্রেতার নিকট থেকে ৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে। শুধু গরু ও ছাগলের ক্ষেত্রে নয় বিভিন্ন পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে মুÐুমালা হাটে টোল আদায়ের নামে নীরব চাঁদাবাজি চলছে। এনিয়ে মেয়রের কাছে ক্রেতা বিক্রেতারা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে নিরুপাই হয়ে পড়েছেন মুÐুমালা হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
এনিয়ে ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, তিনি শুধু নামে ইজারাদার রয়েছে। হাটের টোল আদায়ের বিভিন্ন দিক মেয়র ও কাউন্সিলর আমিন দেখভাল করে থাকেন। তিনি তাদের বেধে দেয়া নিয়মে টোল আদায় করছেন।
বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কোথাও অতিরিক্ত খাজনা নেয়া হচ্ছে না বরং সরকারী নিয়মের চেয়ে অনেক কমে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় এবছর অতিরিক্ত টাকায় হাটটি ডাক দেয়া হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন হাটে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ইজারাদারের লোকশান হবে।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী জানান, মুÐুমালা হাটে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ