Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হেরেও গাজীর শিরোপা উল্লাস

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : শিরোপা নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। দোলেশ্বর-গাজীর মধ্যকার রিজার্ভ ডেতে গড়ানোর আজকের ম্যাচটি তাই ছিল বেকলই জয় পরাজয়ের একটা পরিসংখ্যান মাত্র। ‘গুরুত্বহীন’ সেই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। জিতেও টানা তৃতীয়বারের মত রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হল দোলেশ্বরকে।
এই জয়ের পর দোলেশ্বরের পয়েন্ট দাঁড়ায় ২৪। ওদিকে গাজী ও আগের দিন শেখ জামালের বিপক্ষে জয় পাওয়া আবাহনীর পয়েন্টও সমান ২৪ করে। তিন দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে গাজীর জয় তিনটি, দোলেশ্বরের দুটি ও আবাহনীর একটি। শেষ ম্যাচে হেরেও তাই প্রথমবারের মত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০১৭ জয়ের উৎসব করে নাসির-মুমিনুলের গাজী গ্রæপ। গেলবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তিন নম্বরে থেকে।
পরশু বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটে নামা গাজীর সংগ্রহ যখন ৩৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ ঠিক তখনই আসে বৃষ্টির হানা। প্রকৃতির বাধায় এরপর ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। গতকাল বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৫ বল আগেই ২২২ রানে গুটিয়ে যায় নাসির হোসেনের দল। আগের দিন ৫০ রানে অপরাজিত থাকা জহুরুল ইসলাম আউট হন বলের সমান ৮৭ রান করে। দোলেশ্বরের হয়ে ফরহাদ রেজা নেন ৩১ রানে ৩ উইকেট; দেলোয়ার, আরাফাত সানি ও শরিফুল্লাহ নেন দুটি করে। জবাবে ৩৩ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চত করে দোলেশ্বর।
বল হাতে গাজীর শুরুটা অবশ্য মন্দ ছিল না। ১০ ওভারের মধ্যে ৪৩ রানে দোলেশ্বরের ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে যথাক্রমে ৫৯ ও অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের দুই জুটিতেই ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় দোলেশ্বর। দুই জুটিতেই নেতৃত্ব দেন পুনিত বিশট। ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটস্যমান ৯১ বলে ১১টি চারে অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান শরিফুল্লাহ করেন ৫১ রান।
ফতুল্লায় রিজার্ভ ডেতে গড়ানো আরেক ম্যাচেও ৬ উইকেটে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরশু বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান করা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কাল ২ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় ২১৫ রানে। নাজমুল হোসেন মিলন করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান। আল-আমিন হোসেন ৩৫ রানে ৪টি ও আসিফ আহমেদ ২৮ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাবে ২৪ রানে দুই উইকেট হারালেও রাফাতুল্লার ৮৮ (১২৯ বলে) ও মেহেদী মারুফের ৫৭ রানের উপর ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক। অধিনায়ক আসিফ আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।

রোল অব অনার
আসর চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
২০১৩-১৪ গাজী ট্যাংক শেখ জামাল
২০১৪-১৫ প্রাইম ব্যাংক প্রাইম দোলেশ্বর
২০১৫-১৬ আবাহীন প্রাইম দোলেশ্বর
২০১৬-১৭ গাজী গ্রæপ প্রাইম দোলেশ্বর
*১৯৭৪ সাল থেকে হয়ে আসা এই চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ ১৭বার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে আবাহনী, ৯বার মোহামেডান, ৫ বার বিমান, ৪বার ভিক্টোরিয়া, ২ বার ডিওএইচএস আর ব্রাদার্স জিতেছে একবার। ২০১২-১৩ সালে এই আসরটি মাঠে গড়ায়নি

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
গাজী গ্রæপ-প্রাইম দোলেশ্বর
গাজী গ্রæপ : ৪৯.১ ওভারে ২২২ (এনামুল ১০, মুমিনুল ৩৮, নাসির ৩, নাদিফ ৩৮, জহুরুল ৮৭, শুভ ১৫, আবরার ১০, ; ফরহাদ ৩/৩১, দেলোয়ার ২/৫০, সানি ২/৩৫, শরিফউল্লাহ ২/৩৭)।
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৪.৩ ওভারে ২২৪/৪ (মজিদ ২০, শাহরিয়ার ১৩, মার্শাল ৩৯, বিশট ৮৯*, শরিফউল্লাহ ৫১*; হোসেন ১/২৭, মেহেদী ১/৪৩, আবরার ১/৪০, মমিনুল ১/১৬)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : পুনিত বিশট (দেলেশ্বর)।
মোহামেডান- প্রাইম ব্যাংক
মোহামেডান : ৪৯.৪ ওভারে ২১৫ (শামসুর ৩৪, সৈকত ২৪, রনি ২৮, নাজমুল ৫৩, সাজেদুল ২২, তাইজুল ১৭, এনাম জুনিয়র ১৫*; আল আমিন ৪/৩৫, রায়হান ১/৩৩, তাইবুর ১/৪০, রাফাতউল্ল­াহ ১/৩১, আসিফ ২/২৮)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৩.৫ ওভারে ২১৬/৪ (মারুফ ৫৭, রাফাতউল্লাহ ৮৮, আসিফ ৩০*, নাহিদুল ১৯*; অমিত ১/৩১, শামসুর ১/১১, সাজেদুল ১/৩৪, রহমান ১/৪৩)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রাফাতউল্লাহ (প্রাইম ব্যাংক)।

সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকা
দল ম্যাচ জয় পরাজয় পয়েন্ট নেট রান রেট
আবাহনী ১৬ ১২ ৪ ২৪ +১.১১২
গাজী গ্রæপ ১৬ ১২ ৪ ২৪ +০.৬০১
প্রাইম দোলেশ্বর ১৬ ১২ ৪ ২৪ +০.৫৩৭
প্রাইম ব্যাংক ১৬ ১০ ৬ ২০ +০.২৯২
মোহামেডান ১৬ ৮ ৮ ১৬ Ñ০.৩৫০
শেখ জামাল ১৬ ৭ ৯ ১৪ Ñ০.৪৬৪

সর্বোচ্চ রান
খেলোয়াড় ম্যাচ/ইনি. রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
লিটন দাশ ১৪/১৪ ৭৫২ ১৩৬ ৫৩.৭১ ২/৫
মার্শাল আয়ুব ১৬/১৫ ৬৬১ ৮৪ ৪৪.০৬ ০/৭
ইমতিয়াজ হোসেন ১৬/১৬ ৬৪১ ১২৮ ৪২.৭৩ ২/১
মেহেদী মারুফ ১৬/১৬ ৬৩০ ১২৭ ৪৫.০০ ২/৪
শাহরিয়ার নাফিস ১৬/১৫ ৬০০ ৭৮* ৪২.৮৫ ০/৫

সর্বোচ্চ উইকেট
বোলার ম্যাচ/ইনি. উইকেট সেরা গড় ইকো.
আবু হায়দার ১৬/১৬ ৩৫ ৬/৩৫ ১৮.৪২ ৪.৮৫
আরাফাত সানি ১৫/১৫ ৩৪ ৬/৫৬ ১৯.২৬ ৪.৬৫
আল-আমিন ১৪/১৪ ২৯ ৫/৪৯ ১৭.৫৮ ৪.৫১
তাইজুল ইসলাম ১৬/১৬ ২৯ ৬/২৪ ২৪.৭৯ ৫.০০
মানান শর্মা ১১/১১ ২৭ ৫/৪৭ ১৫.৫৯ ৪.২৮

এক নজরে
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
লিটন দাশ (আবাহনী)Ñ ৭৫২ রান
সর্বোচ্চ ইনিংস
রাকিবুল হাসান (মোহামেডান)Ñ১৯০ রান
(১৩৮ বলে, প্রতিপক্ষ আবাহনী)।
সর্বোচ্চ উইকেট
আবাু হায়দার (গাজী গ্রæপ)Ñ ৩৫ টি।
বেস্ট বোলিং ফিগার
তানভির ইসলাম (খেলাঘর)Ñ ৬/১৮
(প্রতিপক্ষ পারটেক্স)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ