নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : জো রুটের ব্যাট জ্বলে উঠল আরেকবার, অ্যালেক্স হেলসও পেলেন টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তাদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে সুযোগ পাওয়া জস বাটলারও ফিফটির দেখা পেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন হাফসেঞ্চুরি ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরে জমা করে তারা ৩১০ রান।
গতকাল কার্ডিফে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। ‘এ’ গ্রæপে একমাত্র জয় পাওয়া স্বাগতিকদের শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ ওপেনার জেসন রয়। মাত্র ১৩ রান করে এই ওপেনার বোল্ড হয়ে যান অ্যাডাম মিলনের বলে। শুরুর ধাক্কাটা অবশ্য দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে ইংলিশরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া রুট ওপেনার হেলসকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িয়ে নেন দলীয় স্কোর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করার পথে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আবার হেলস। যদিও ফিফটির পর বেশিক্ষণ তাকে টিকতে দেননি মিলনে। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে এই ওপেনারকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কিউই পেসার।
রুট অবশ্য এক প্রান্ত আগলে রেখে করে গেছেন সাবলীল ব্যাটিং। অধিনায়ক এউইন মরগানের কাছ থেকে সঙ্গ পাননি বেশিক্ষণ, ইংলিশ অধিনায়ক কোরে অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটরক্ষক লুক রঞ্চির গøাভসে ধরা পড়ার আগে করেন ১৩ রান। তবে বেন স্টোকসকে সঙ্গী করে অনেকটা পথ পাড়ি দেন রুট। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৪ রান করার পথে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম হাফসেঞ্চুরি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে হার না মানা ১৩৩ রানের ইনিংস খেলা রুট কিউইদের বিপক্ষেও আভাস দিয়েছিলেন বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু পারেননি, অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে যান ৬৪ রান করে। ৬৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৪ বাউন্ডারি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে।
স্টোকস মাত্র ২ রানের জন্য মিস করেছেন ফিফটি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে মিলনের হাতে ধরা পড়ার আগে করেন ৪৮ রান। এই অলরাউন্ডার আউট হওয়ার পর ভেঙে পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন। মঈন আলী (১২) ও আদিল রশিদ (১২) ফিরে যান দ্রæত। একটা সময় তাই মনে হচ্ছিল স্বাগতিকদের রান ৩০০ পেরোবে তো!
হয়েছে শেষ পর্যন্ত বাটলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৪৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। ২ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটা আরও বড় হতে পারতো যদি সঙ্গী হিসেবে কাউকে পেতেন। শেষ দুই ব্যাটসম্যান মার্ক উড (০) ও জেক বল (০) পরপর দুই বলে ফিরে না গেলে হয়তো ইংলিশদের দলীয় স্কোরটাও বাড়তো আরও। শেষ দিকে দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেওয়া টিম সাউদি ৪৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তবে সবচেয়ে সফল বোলার মিলনে ও অ্যান্ডারসনের শিকার ৩টি করে উইকেট।
ইংল্যান্ড : ৪৯.৩ ওভারে ৩১০ (রয় ১৩, হেলস ৫৬, রুট ৬৪, মর্গ্যান ১৩, স্টোকস ৪৮, বাটলার ৬১*, মইন ১২, রশিদ ১২, প্লাঙ্কেট ১৫; সাউদি ২/৪৪, বোল্ট ১/৫৬, মিলনে ৩/৭৯, অ্যান্ডারসন ৩/৫৫, স্যান্টনার ১/৫৪)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।