Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চোকারদের ঠেকাতে মরিয়া পাকিস্তান

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লঙ্কানদের ৯৬ রানে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার। আর চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের বিপক্ষে হারেই টুর্নামেন্ট শুরু পাকিস্তানের। ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বার্মিংহামে আজ মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। ম্যাচ জিতলে প্রোটিয়াদের শেষ চার নিশ্চিত হবে। হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে পাকিস্তানকে। তাই নিজেদের আশা জিইয়ে রাখতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। এমন লক্ষ্য নিয়েই পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল।
গত রোববার এজবাস্টনে ভারতের কাছে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার দল লড়াই করবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। প্রথম ম্যাচে গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। তবে এতে উদ্বিগ্ন হবার মত কিছুই দেখছেন না কোচ আর্থার। তার আশা প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই ঘুড়ে দাঁড়াবে তার দল। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের অবস্থান অষ্টমস্থানে হলেও আর্থার মনে করেন তার দলের যোগ্যতা আছে প্রেটিয়াদের হারানোর। তবে কাজটি বেশ কঠিনই হবে, ‘দল ঘুড়ে দাঁড়াবে এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাবে। কারণ আমি মনে করি, আমার খেলোয়াড়রা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।’ ভারত ম্যাচে পায়ের গোঁড়ালিতে আঘাত পাওয়ায় ওয়াহাব রিয়াজকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নামতে হবে পাকিস্তানকে।
ইনজুরিতে পড়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠ ছাড়ার আগে ৮.৪ ওভারে ৮৭ রান দেন রিয়াজ। তার অনুপস্থিতি দলের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর হবে না বলে মনে করেন কোচ। রিয়াজের পরিবর্তে আনকোরা রুম্মান রইসকে দলে ভিড়েয়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আরেক পেসার মোহাম্মদ আমিরও। ৮.১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন আমির।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে হাশিম আমলার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লংকানদের সামনে ৩শ’ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ঐ ম্যাচে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তাহির। তাই তাহিরের ব্যাপারে প্রশংসা ঝড়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের কন্ঠে, ‘তাকে ১০এর মধ্যে ১০ই দেবো। বোলিং ও ফিল্ডিং দারুণ করেছে সে। বোলিংয়ে উইকেট নিয়েছে এবং তার ইকোনমিও সবসময়ের মত ভালো ছিলো।’
আইসিসি’র ইভেন্টে খুব বেশি সুবিধা করতে পারে না দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিলো তারা। আইসিসি’র কোন ইভেন্টে সেটিই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এবার কি হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ