Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা আবাহনীর ‘লা দেসিমা’

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড টুর্নামেন্টের দশম শিরোপা ঘরে তুললো। তারা ছুঁয়ে ফেললো ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। এর আগে মোহামেডানই একমাত্র দল ছিলো যারা দশবার ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবারের ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখী হয়েছিলো দুই আবাহনী। ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ৩-১ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নিল। বিজয়ীদের পক্ষে নাবিব নেওয়াজ জীবন, ইমন মাহমুদ ও এমেকা ডার্লিংটন একটি করে গোল করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে একমাত্র সান্তনা সুচক গোলটি শোধ দেন এলিসন উদোকা।
কাল ফেডারেশন কাপের ফাইনালে দুই আবাহনীর লড়াইয়ে পাত্তাই পায়নি চট্টগ্রাম। ঢাকা আবাহনী ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া লড়ে। ফলে শেষ পর্যন্ত জয় হয় তাদেরই। তবে চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীও। চলতি বছর থেকে নতুন নিয়ম হয়েছে। ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়নরাই যোগ্যতা অর্জন করবে এএফসি কাপে খেলার। আর তাই দু’দলই প্রাণপণ লড়েছে ম্যাচে এগিয়ে যেতে। সে লক্ষ্যে অবশ্য সফলতা পেয়েছে ঢাকা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে ঢাকা আবাহনী। তাই একাধিক গোলের দেখা পেয়েছে তারাই। তারপরও গোল পেতে প্রায় আধঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় দ্রাগো মামিচের শিষ্যদের। ৩৬ মিনিটে বাঁমপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ঢাকা আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন। ডান পায়ের তীব্র শটে চট্টগ্রাম আবাহীর গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি (১-০)। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে বিজয়ীরা। বক্সের বাইরে বল পেয়ে ইমন মাহমুদ বাঁম পায়ের জোড়ালো শট নিলে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর মধ্যেই স্টেডিয়ামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তের ফ্লাড লাইটের আলো হঠাৎ নিভে যায়। ফলে খেলা বন্ধ থাকে সাত মিনিট। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ঢাকা আবাহনী। ডান প্রান্ত দিয়ে ডিফেন্ডার রায়হানের লম্বা থ্রো বক্সের বাইরে চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডার হেড দিয়ে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল চলে যায় ঢাকা আবাহনীর ইমন মাহমুদের পায়ে। তিনি বাঁম পায়ের দারুণ উচু শটে গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করেন। নেহাল ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি ফলে দ্বিতীয়বার উল্লাসে ফেটে পড়ে ঢাকা আবাহনীর গ্যালারি (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও যেন গোল কমে না ঢাকার আকাশী-হলুদদের। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় তারা। ৪৮ মিনিটে বন্দর নগরীর দলটির ম্যাচে ফেরার পথ প্রায় বন্ধ করে দেন ঢাকা আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন। এসময় বাঁম দিক দিয়ে ওয়ালী ফয়সালের নিচু ক্রসে এমেকা ডার্লিংটন টোকা দিয়ে বল জালে প্রবেশ করান। ফলে তৃতীয় গোলের দেখা পায় ঢাকা আবাহনী (৩-০)। ম্যাচের শেষ দিকে এসে পেনাল্টি থেকে স্বান্তনার একটি গোল শোধ দেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৮১ মিনিটে এলিসন উদোকা বল পাঠান জালে। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে শট না নেওয়ায় গোল হয়নি। ফের শট নেন এলিসন। এবার জালে বল পাঠাতে সক্ষম হন তিনি (১-৩)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। আর হেরে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে রানার্স আপই হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে ৬ লাখ এবং রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪ টাকা প্রাইজমানি দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ