পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719619497](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøক। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সাথে সাক্ষাৎ করে দেশটির অবস্থান জানান। ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তারা বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তুর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। অবশ্য সিইসিও একই উদ্দেশ্যের কথা জানিয়ে বলেন, তারা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশি-বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চায়। আগামী ১১ জুন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ২০ জুন প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের কথা রয়েছে। ব্রিটিশ হাই-কমিশনারের নেতৃত্বে ৪ সদেস্যর একটি প্রতিনিধি দল বেলা ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন সচিবালয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। তাদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। সাক্ষাতে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার প্রধান অ্যাড্রিন জন্স, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এজাজুর রহমান ও ইউকে এইড এর প্রতিনিধি আইসলিন বেকার। সাক্ষাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাত শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কারো পক্ষ হয়ে আসেনি। আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অন্তুর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণ এবং এ লক্ষ্যে যারা কাজ করছেন তাদের পক্ষে সমর্থন জানানোর জন্য আমরা এসেছি। সাক্ষাতে ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হয়ছে বলে তিনি জানান। সাক্ষাতের বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এটা সিইসির সাথে তার প্রথম ও সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। সিইসি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় ব্রিটিশ দূত তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সিইসিও তাকে ইসিতে স্বাগত জানিয়েছেন। বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগী ও পুরনো বন্ধু দেশ হিসেবে অনেক বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
সচিব আরো বলেন, সিইসির সঙ্গে আলোচনায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আমাদের আগের কিছু নির্বাচনের নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ না থাকার বিষয়টি তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে। এছাড়া, দু-একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতার কথাও তারা জানিয়েছেন। জবাবে সিইসি তাদের বলেছেন, তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, কয়েকটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কেবল দেশে নয়, সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটাকে সামনে রেখেই এই রোডম্যাপ করা হয়েছে। সিইসি জানিয়েছেন রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এটি চলতি মাসেই চূড়ান্ত করা হবে এবং জুলাই থেকে রোডম্যাপ অনুসারে কাজ শুরু হবে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা বড় চ্যলেঞ্জ। সিইসি প্রত্যাশা করেছেন, জুলাই থেকে তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারা অনেকবার দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। এতে করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমে আসবে এবং ইসির প্রতি তাদের আস্থা বাড়বে। আশা করি, সকল দল নির্বাচনে অংশ নেবে। এর আগে গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।