Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন : বেইজিং

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : স¤প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক কর্মকান্ড নিয়ে চীনকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় চীনের সামরিকায়ন মেনে নেয়া হবে না বলে জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ মন্তব্যের জোর বিরোধিতা করেছে চীন। এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং ম্যাট্টিসের এ মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করেন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের বিষয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রশাসনের মতে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে নৌযান চলাচলের স্বাধীনতাকে বিঘ্ন করছে। গত শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন শাংরি-লা ডায়ালগে অংশগ্রহণ করে মার্কিন প্রশাসনের এ উদ্বেগকেই পুনর্ব্যক্ত করেন ম্যাট্টিস। সম্মেলনে ম্যাটিস বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে চীন কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে সেখানে সামরিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে, যা অন্যান্য দেশের স্বার্থের প্রতি হুমকি। দেশটির এ ধরনের চর্চা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে বলে মনে করেন তিনি। ম্যাট্টিস জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কার্যক্রম কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানের ঘোর বিরোধিতা করেছে চীনা প্রশাসন। গত রোববার এক বিবৃতিতে চুনিং জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ অঞ্চলের বাইরের কিছু দেশ ভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করছে। সেসঙ্গে তিনি বলেন, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ ও এ-সংলগ্ন নৌসীমায় চীনের নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্ব রয়েছে বলে জানান চুনিং। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে অন্যান্য দেশের নৌ ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতার প্রতি চীন পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। এ স্বাধীনতা অক্ষুণœ রাখতে চীন সচেষ্ট ভূমিকাও পালন করে। তবে নৌ ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতার নামে নির্দিষ্ট কিছু দেশ চীনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করলে চীনা প্রশাসন তা মেনে নেবে না। উল্লেখ্য, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমাকে নিজেদের অংশ বলে মনে করলেও ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশও এ নৌসীমার পুরোটা কিংবা আংশিক নিজেদের বলে দাবি করে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ