Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্রুত বিচার আইনে সাজা দুই বছর বাড়ল

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আইন অনুযায়ী এই অপরাধের জন্য সাজার মেয়াদ আছে দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। এখন সেটি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সাত বছর করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৭ এর খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,আইনানুযায়ী মোট নয়টি বিষয়কে এই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,দ্রুত বিচার আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। ওই ধারায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ করলে এতদিন সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি অর্থদন্ডের বিধান ছিল। সংশোধিত আইনের খসড়ায় ওই সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ২ বছর ও সর্বোচ্চ ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সাজার পরিমাণ বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, অনেকগুলো ফোরাম  থেকে প্রস্তাব আসে যে সাজা পাঁচ বছর পর্যাপ্ত নয়। স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। সবাই সাজা সাত বছর করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ আইনের সাজা বাড়ানো হল কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচন উপলেক্ষে এটা (শাস্তি) বাড়ানো হয়নি, এটা নিয়মিত কাজ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে দ্রæত বিচার আইন জারি করে দুই বছরের জন্য তা কার্যকর করা হয়। এরপর বেশ কয়েক দফা ওই আইনের মেয়াদ বাড়ায়  বর্তমান সরকার। চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন। তবে যখন যারা বিরোধী দলে ছিল, তারা এ আইনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তির বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে। পরে বিভিন্ন সময় কার্যকারিতার  মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০০৪, ২০০৬, ২০১২, সর্বশেষ ২০১৪ সালে এ আইনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালে আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ একসঙ্গে ৫ বছর বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দ্রæত বিচার আইনটি কার্যকর থাকবে।
রূপপুরের বর্জ্য নেবে রাশিয়া
বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের  তেজস্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য  নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সইয়ের জন্য খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন  যেকোনো সময় এই চুক্তি সই হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের  তেজস্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য ( স্পেন্ট ফুয়েল) ফেরত নেবে রাশিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দ্রুত বিচার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ